করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় ইউরোপে ফের কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ

539

কোপেনহেগেন, ১৬ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : ইউরোপীয় দেশগুলো করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় নতুন করে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার “গভীর উদ্বেগ” প্রকাশ করে ইউরোপীয় দেশ সমূহকে সতর্ক করে দেয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয় ।
কোভিড ১৯ দৈনন্দিন রাষ্ঠ্রীয় ও নানা সামাজিক কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টি করছে। কোভিড ১৯ ক্ষমতার দোরগোড়ায়ও পৌঁছে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনের রানিং মেট কমলা হ্যারিস তার এক কর্মী করোনা সংক্রমিত হওয়ায় সফর স্থগিত করেছেন এবং ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন একই কারণে হঠাৎ করেই ব্রাসেলস এ এক সম্মেলন ত্যাগ করেছেন।
করোনাভাইরাস সংকট নিয়ন্ত্রনে সরকারের উদ্যোগের নজির হিসেবে ফ্রান্স পুলিশ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রীর বাসা তল্লাসি করেছে, ফ্রান্সে প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমনের সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইইউ’র রোগ নিয়ন্ত্রন সংস্থা ইসিডিসি উচ্চহারে সংক্রমন ও করোনা পজেটিভ এলাকার একটি মানচিত্র হস্তান্তর করেছে, এতে ৩১ টি দেশের অর্ধেকের বেশী দেশে উচ্চমাত্রার সংক্রমনের কথা বলা হয়েছে, এই দেশগুলোর মধ্যে নন ইউরোপীয় দেশও রয়েছে।
বিরতিহীন করোনা সংক্রমনের কারনে ইংল্যান্ডে পারিবারিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। কঠোর অবরোধ আরোপে লাখ লাখ লোক বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে।
প্যারিসে এবং অপর আরো ৮টি নগরীতে কারফিউ জারি করা হচ্ছে এবং জার্মানিতে লোকদের ভিড় করার ক্ষেত্রে নতুন করে সীমাদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। প্রধান নগরীসহ রেড জোন এলাকায় আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পোল্যান্ড সরকার যথাসম্ভব ঘরে থেকে কাজ করতে বলেছে। সুইজারল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রী এলাইন বারসেট বলেছেন, অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে তার দেশে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ লাখ লোকের মৃত্যু এবং ৪ কোটি লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক দেশ লকডাউনের কারণে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিপর্য়য় ছাড়াই কিভাবে করোনা নিয়ন্ত্রন করা যায় তা নিয়ে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে।