মার্কিন উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগান আজ ঢাকায় আসছেন

526

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর, ২০২০ (বাসস) : কোভিড-১৯ মোকাবিলা কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সহযোগিতার পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত দুই দেশের অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নিতে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই. বিগান তিন দিনের সফরে আজ বিকেলে এখানে পৌঁছাবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা মঙ্গলবার বাসসকে বলেন, সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিগান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
মার্কিন উপ পররাস্ট্র মন্ত্রী বুধবার রাতে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে নৈশভোজ ও বৈঠকে যোগ দেবেন।
বিগানের সফর সূচিতে কোভিড ১৯ মহামারি মোকবিলায় বাংলাদেশের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বৃহস্পতিবার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শনের কথা রয়েছে এবং সেখানে তিনি হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে মেডিকেল সরঞ্জাম হস্তান্তর করবেন।
বিগান ধানমন্ডি ৩২ নন্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
বিগান নয়া দিল্লিতে তিন দিনের সফর শেষ করে সেখান থেকে আগামীকাল বিকালে এখানে পৌঁছাবেন। ভারতে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর এবং পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সাথে বৈঠক করছেন।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেছেন, বিগানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রত্যাবাসন জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়ে রোহিঙ্গা ইস্যু উত্থাপন করবেন।
সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) দায়িত্ব কেবল আমাদের নয়, এটি গোটা বিশ্বের দায়িত্ব। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্রাটেজির অধীনে অবকাঠামো উন্নয়নে এখানে বিনিযোগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দেবে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের আইপিএস এর ব্যাপারে আমাদের কোন আপত্তি নেই, তবে আইপিএস কার্যকর করতে এখানে অবকাঠামো উন্নয়নে অবশ্যই তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) এগিয়ে আসতে হবে।’
মোমেন বলেন, তিনি সম্ভাবনাময় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ভিসা ইস্যুর বিষয়টি উপস্থাপন করবেন, কোভিডের কারনে এখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এখনো বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য নতুন শিক্ষার্থী ভিসা প্রদান শুরু করতে পারেনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মহামারির কারণে আর্থিক বিপর্যয় থেকে দেশের আরএমজি খাতকে পুনরুদ্ধারে ঢাকা আগামী তিন বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের (আরএমজি) শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইবে।
এর আগে এখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সবার জন্য সমৃদ্ধি ভাগ করে নেয়ার পাশাপাশি ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলের সুরক্ষা এবং আমাদের অবাধ, মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ অভিন্ন লক্ষ্য এগিয়ে নেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে উপ-পররাস্ট্র মন্ত্রীর আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।’
মার্কিন উপ-পররাস্ট্র মন্ত্রী শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।