বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিয়া ও রাজীবের পিতা-মাতার সাক্ষাৎ

360

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-পিতামাতা
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দিয়া ও রাজীবের পিতা-মাতার সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দিয়া ও রাজীবের পিতা-মাতা এবং পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। তারা আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কলেজ ছাত্র দিয়া ও রাজীব এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোডে বাস চাপায় নিহত হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী নিহতদের পিতা-মাতাকে সান্ত¦না জানিয়ে বলেন, তিনি সম্ভাব্য সকল সহায়তাসহ এ দুই পরিবারের পাশে থাকবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রিয়জনকে হারানোর যে বেদনা তা আমি বুঝি। কারণ, আমিও একরাতে আমার পরিবারের সকল সদস্যকে হারিয়েছি। তাই সান্ত¦না জানানোর ভাষা নেই।’
ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক পরিবারকে ২০ লাখ টাকা করে সঞ্চয়পত্র প্রদান করেন।
দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির, দিয়ার মা, ভাই ও বোন এবং রাজীবের মা মহিমা বেগম রাজীবের বোনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, দিয়ার বাস চালক পিতা আবেগজড়িত কন্ঠে পরিবহন খাতের এবং চালকদের কিছু সমস্যার কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। দিয়ার বাবা বলেন, অধিকাংশ চালককেই অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় এবং এর ফলে বার বার সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষা নূরুন্নাহার ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবহন সুবিধার্থে ৫টি বাস প্রদান এবং রমিজ উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের কাছে এয়ারপোর্ট রোডে একটি আন্ডারপাস নির্মাণে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
তিনি নগরীর সকল স্কুলের সামনে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন এবং স্পিড ব্রেকার নির্মাণের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে এবং মহাসড়কগুলোতেও চালকদের জন্য বিশ্রামাগার তৈরিতে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ইহসানুল করিম বলেন, দিয়া ও রাজীবের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে ঘরে ফিরে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
দিয়া খানম মিম এবং আবদুল করিম রাজীব গত ২৯ জুলাই জাবাল-ই-নূর পরিবহন বাস চাপায় নিহত হয়।
বাসস/একেএইচ/এবিএইচ/১৯৪৫/আহা/-আরজি