করোনা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ ভিত্তিক খেলোয়াড়দের পাবার আশা করছে ব্রাজিল

304

সাও পাওলো, ১ অক্টোবর ২০২০ (বাসস) : বিশ্বের শীর্ষ ক্লাবগুলোর মধ্যে সম্প্রতি নতুন করে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। কিন্তু এই শঙ্কা মাথায় নিয়েই আসন্ন দক্ষিণ আমেরিকান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ ভিত্তিক ক্লাব অর্থাৎ পিএসজি স্ট্রাইকার নেইমারসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে পাবার আশা করছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ)।
আগামী ৯ অক্টোবর সাও পাওলোতে বলিভিয়াকে আতিথ্য দিবে ব্রাজিল। চারদিন পর পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে লিমা সফরে যাবে তিতের দল। আন্তর্জাতিক বিরতিতে প্রতিটি দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের জাতীয় দলেরই ম্যাচ রয়েছে।
এদিকে এশিয়া ও কনাকাকাফ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ম্যাচগুলো কোভিডের কারনে মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করা হলেও দক্ষিন আমেরিকা খেলা চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছে। এখনো করোনা মহামারীর কারনে বেশ কয়েকটি দেশে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে এক্ষেত্রে সফররত দেশগুলোর সাথে স্বাগতিক দেশের সরকারের আলোচনার মাধ্যমে অন্তত দলগুলোকে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে। দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেশী।
সিবিএফ সভাপতি রোজারিও কাবোক্লো বলেছেন মেজর লিগ সকারের ক্লাবগুলো তাদের খেলোয়াড় ছাড়তে আপত্তি জানিয়েছে। তারা খেলোয়াড়দের কোয়ারেন্টাইনের অধীনে রাখতে চায়। আর এ কারনেই ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় ছাড়াটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে অন্য কোন জায়গা থেকে এ ধরনের কোন আপত্তি আসেনি। তবে আপত্তি জানানোর সময়সীমা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। কাবাক্লো আশা করছেন এধরনের বড় কোন সমস্যা দেখা দিবে না।
বিশে^র অনেক শীর্ষ খেলোয়াড়রারই ইউরোপীয়ান ক্লাবগুলোর সাথে জড়িত আছে। বার্সেলেনোর লিওনেল মেসি, পিএসজির নেইমার যারা যথাক্রমে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের হয়ে আসন্ন বাছাইপর্বে নিজ নিজ দলে ডাক পেয়েছেন। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল থেকে এলিসন, ফ্যাবিনহো ও রবার্তো ফিরমিনো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন।
বাছাইপর্ব ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচগুলোতে খেলোয়াড় ছাড়ার ব্যপারে যে স্বাভাবিক নিয়ম ছিল তা অপরিবর্তিত রেখেই চলতি সপ্তাহে আইন ঘোষনা করার কথা রয়েছে ফিফার। তবে প্রীতি ম্যাচগুলোর জন্য খেলোয়াড়র ছাড়ার ব্যাপারে ফিফার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
নেশন্স লিগের ম্যাচগুলোর জন্য ইউরোপীয়ান জাতীয় দলগুলোও ব্যস্ত থাকবে। সেখানেও বিশে^র প্রায় সব শীর্ষ ক্লাবের খেলোয়াড়রাই রয়েছে। গত সপ্তাহে ফিফাপ্রো’র মহাসচিব ইয়োনাস বায়ের-হফম্যান বলেছিলেন খেলোয়াড়দের কোন ধরনের শঙ্কা ছাড়া যাতায়াতের বিষয়টি আগে নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের ওপরই সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।
মেজর লিগ সকার যে ধরনের আপত্তি তুলেছে তাতে পেরু সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। পেরুর জাতীয় দলের সাতজন খেলোয়াড় বর্তমানে এমএলএস’এ খেলছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে এমএলএস ক্লাবগুলোর কোন খেলোয়াড় বিদেশ ভ্রমনে গেলে তাদের জন্য অন্তত ১০দিন ও কানাডার তিনটি এমএলএস ক্লাবে ১৪দিনের কোয়ারেন্টাইন আইন রয়েছে।