টার্কি মুরগি পালনে ভাগ্য বদলেছে সাতক্ষীরার সাজিদা খাতুনের

694

সাতক্ষীরা, ৬ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস) : টার্কির মাংসের সুখ্যাতি বিশ্বজুড়ে। এর উৎপাদন খরচ তুলনামূলকভাবে কম। তাই টার্কি পালন বেশ লাভজনক। আর এ টার্কি মুরগি পালনে ভাগ্য বদলাতে শুরু করেছে পুরাতন সাতক্ষীরার সাজিদা খাতুনের।
সাজিদা খাতুন জানান,পরিবারের অভাব অনটনের কারণে পোল্ট্রি ফার্ম, ধান কিনে বিক্রয়সহ নানা ধরণের ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করলেও স্বচ্ছলতা আসেনি। বছর তিনেক আগে পাশের গ্রাম থেকে একজোড়া টার্কি মুরগি কিনে আনেন। টার্কির বয়স ছয় সাত মাস যেতে না যেতেই ডিম দেয়া শুরু হয়। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই এক জোড়া টার্কি মুরগি থেকে এখন তিনি কয়েকশ’ টার্কির মালিক। প্রতি মাসে ডিম ও টার্কি মুরগি বিক্রয় করে ভালোই আয় হয় । এখন বাণিজ্যিকভাবে টার্কির খামার করছেন তিনি। এ মুরগির সাধারণ মুরগির মতো রোগ বালাই হলেও বড় ধরণের কোনো অসুখ এখন পর্যন্ত হয়নি।
তিনি আরো জানান, টার্কির রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশী। ছয় মাসের একটি পুরুষ টার্কির ওজন হয় পাঁচ-ছয় কেজি এবং স্ত্রী টার্কির ওজন হয় তিন-চার কেজি। ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ২৮ দিনেই এর ডিম ফুটানো যায়। এছাড়া বর্তমানে দেশীয় মুরগির মাধ্যমে টার্কির ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি এক মাসের বাচ্চা জোড়া বিক্রি করেন আড়াই হাজার টাকায়। প্রতিটি ডিম বিক্রি করেন ২০০ টাকায়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ জানান, টার্কি আমাদের প্রাণিসম্পদ; একটি নতুন প্রজাতি। যশোর বরিশাল, সাতক্ষীরাতে টার্কি পালন করা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। টার্কি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। এ কারণে খামারিরা এ ব্যবসার প্রতি ঝুঁকছেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সাজিদা খাতুনসহ সকল টার্কি খামারিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে।