বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ : পর্যটনশিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার আহবান প্রধানমন্ত্রীর

125

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১
শেখ হাসিনা- বাণী
পর্যটনশিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার আহবান প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যটনশিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট সেবাখাতগুলোতে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আসুন, আমরা সবাই একসঙ্গে অপার সম্ভাবনাময় এই পর্যটনশিল্পে অধিকতর কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সংশ্লিষ্ট সেবাখাতসমূহে দক্ষ জনবল তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষ্যে আজ এক বাণীতে এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও জাতিসংঘ পর্যটন সংস্থা ঘোষিত বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এবছর বিশ্ব পর্যটন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’কে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশের অন্যতম এজেন্ডা ‘গ্রাম হবে শহর’ যা এবছর জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত প্রতিপাদ্যের সাথে অত্যন্ত সংগতিপূর্ণ।
পর্যটন বিশ্বে শ্রমঘন এবং সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে স্বীকৃত উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষ্টি, ঐতিহ্য আর অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভুমি বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী-নালা, প্রতœতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় স্থান, পাহাড়, বন, জলপ্রপাত, চা বাগান এবং বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম অবারিত বালূকাময় সমুদ্রসৈকতটি বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থিত। দেশের উত্তর-পূর্বঞ্চলে রয়েছে বিস্তীর্ণ হাওড়, চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড় এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবনপ্রণালী পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিষয়। সবুজে ঘেরা গ্রামীণ সৌন্দর্যও ছুটির দিনে পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক বিকাশের ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটনকার্যক্রম পরিচালনা করতে এবং এর সুফল যাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ভোগ করতে পারে, সে লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি আশ করি, সরকারের এসব পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সকলে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে পর্যটনকেন্দ্র সম্পর্কে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে হবে।”
এ ব্যাপারে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের স্বতস্ফুর্তভাবে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান এবং ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০’ এর সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৭২৫/এবিএইচ