বাসস বিদেশ-৮ : কম্বোডিয়ার বিরোধী সাত নেতাকর্মীর রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কারাদন্ড

198

বাসস বিদেশ-৮
ক্যাম্বোডিয়া-রাজনীতি
কম্বোডিয়ার বিরোধী সাত নেতাকর্মীর রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কারাদন্ড
নমপেন, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : নির্বাসিত এক বিরোধী নেতার সমর্থনে একটি অনলাইন পোস্টের মন্তব্যে রাষ্ট্রদ্রোহের দায়ে কম্বোডিয়ার সাতজন বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তাদের আইনজীবী বৃহস্পতিবার বলেন, ভিন্ন মতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের অভিযান ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। খবর এএফপি’র।
রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত বলে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে কারাগার এড়ানোর জন্য ২০১৫ সাল থেকে ফ্রান্সে বসবাসরত স্যাম রেইনসি কম্বোডিয়ায় ফিরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু নভেম্বরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রচেষ্টা কট্টর প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ব্যর্থ করে দেন। তিনি এটিকে একটি ‘অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা’ হিসাবে চিহ্নিত করেন এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রেরণ করেন।
আইনজীবী স্যাম সোকং বৃহস্পতিবার এএফপিকে বলেন, গত বছর রেইনসির প্রত্যাবর্তনের সমর্থনে বার্তা পোস্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত বিরোধী দলীয় কর্মীদের এই সপ্তাহে পূর্ব টাবুং খমুম প্রদেশে ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে’ শা¯িা প্রদান করা হয়।
আত্মগোপনে থাকা চারজনের অনুপস্থিতিতে পরোয়ানাসহ সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। অন্য এক কর্মীকেও একই সাজা দেয়া হয়। তিনি ইতোমধ্যে কারাগারে রেয়েছেন।
‘এটা আমার মক্কেলদের জন্য খুবই অন্যায়’ উল্লেখ করে সোকং বলেন, তিনি এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত অন্য দুজন বিরোধী কর্মীকে পাঁচ বছরের জন্য বরখাস্তের সাজা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কারা ভোগ করতে হবে না বলে তাদের আইনজীবী জানান।
স্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন লিকাধোর উপ-পরিচালক এম স্যাম অ্যাথ পরিস্থিতি ‘উদ্বেগজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
এই মাসের শুরুতে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর বলেছে, ভিন্নমত এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার দমনের প্রতি সরকারের অসহিষ্ণুতা আরো গভীর হয়েছে।
১৯৮৫ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা হুন সেন বিশ্বের দীর্ঘকাল ধরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নেতাদের অন্যতম।
বাসস/অনু-জেজেড/২০৪৫/এসই