জয়পুরহাটে পতিত জমিতে ভাই-বোনের মাল্টা চাষ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

468

জয়পুরহাট, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জেলার পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন চেঁচড়া গ্রামে পতিত জমিতে ভাই-বোন মিলে মাল্টা চাষ করে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এলাকায়।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, চেঁচড়া গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে আব্দুল আলিম ও মেয়ে আলেমন বেগম। সীমান্ত এলাকায় বসবাস করলেও একটু লেখাপড়া জানার কারণে দুই ভাই-বোন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মাল্টা চাষ করবে। সেই লক্ষ্যে স্থানীয় মসজিদের নামে থাকা ৩ বিঘা পতিত জমি লিজ নেয়। যেখানে তেমন কোন ফসল হয়না আবার বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রয়েছে ঝোঁপঝাড়। মসজিদ কমিটির নিকট থেকে আড়াই লক্ষ টাকা দিয়ে ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে শুরু করে মাল্টা চাষ। জমি লিজ নেওয়া, বাগান তৈরি, সার কীটনাশক, লেবারসহ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় ৭ লাখ টাকা বলে জানান আব্দুল আলিম। তিনি জানান, স্থানীয় কৃষি বিভাগ মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করা থেকে শুরু করে সব রকম পরামর্শ প্রদান করেছে। মসজিদের নামে থাকা ৩ বিঘা পতিত জমি যেখানে তেমন কোন ফসল হতো না, সেখানে ভাই-বোন মাল্টা করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাজারে বর্তমানে এ মাল্টা বিক্রি হচ্ছে দেড়শ থেকে ২শ টাকা কেজি। ভালো দাম থাকায় খুশির অন্ত নাই ভাই-বোনের। বর্তমানে বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা মাল্টা দেখে ভাল লাভের স্বপ্ন দেখছেন ভাই-বোন। প্রথম মৌসুমেই বিক্রি প্রায় ১০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বোন আলেমন বেগম। মাল্টা চাষে সফলতা দেখে এলাকার অনেকেই মাল্টার বাগান করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন, এখানকার মাটি লাল এটেলযুক্ত হওয়ায় মাল্টা চাষের উপযোগী। সে কারণে পড়ে থাকা অর্থাৎ পতিত জমিতে বিশেষ করে যে জমি গুলোতে তেমন ফসল হয়না এ সব জমিতে মাল্টা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ দেখে পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬০ টি মাল্টার বাগান করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। মাল্টা চাষে সব রকম পরামর্শ দেওয়া হয় উল্লেখ করে লুৎফর রহমান আরও বলেন, দাম ভালো পাওয়ায় মাল্টা চাষীরা বেশ খুশি।