বাসস দেশ-৪০ : মহিলা পরিষদের ১০ম ব্যাচের অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্বোধন

177

বাসস দেশ-৪০
কোস-উদ্বোধন
মহিলা পরিষদের ১০ম ব্যাচের অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্বোধন
ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদের উদ্যোগে ‘জেন্ডার, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন’ বিষয়ক ১০ম ব্যাচের অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম।
স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ জাতীয় ও বৈশ্বিক নারী আন্দোলনের অংশ। নারী আন্দোলনের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে ও এ সম্পর্কিত বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অব্যাহত রাখতে এই কোর্স সম্পাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাঠ পর্যায়ে নারী আন্দোলনের লব্ধ ও তাত্ত্বিক জ্ঞানের সমন্বয়ে এই কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এই পাঠক্রম নারী আন্দোলনের মাধ্যম সমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নির্মাণে সহায়তা করবে।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সমাজে প্রচলিত বৈষম্য দূর করে গণতান্ত্রিক, সমতাপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে নানামুখী কাজ করে চলেছে। কোর্সটি পরিচালনার উদ্দেশ্য হলো সকলের মাঝে জেন্ডার সমতাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা। যাতে কোর্সটির মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যেকে প্রয়োগ করতে পারেন। পরবর্তীতে তিনি কোর্সের আওতায় পাঠদান পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং সকল ক্ষেত্রে জেন্ডার সমতাপূর্ণ মানবসম্পদ গড়ে তোলার আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ৫৮টি জেলার ২,৩৫০টি শাখার মাধ্যমে অগণিত কর্মী-সংগঠক নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। যখন সমাজে বৈষম্য থাকে তখন বৈষম্য নিরসনের জন্য আন্দোলন করতে হয়। কিন্তু লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক জীবন পেরিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনেও প্রভাব ফেলে। নারীর সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে। বেইজিং ঘোষণাপত্র ও সিডও সনদের মধ্য দিয়ে নারীর অধিকার মানবাধিকার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামাজিক পুনঃনির্মাণের প্রাথমিক পদক্ষেপ এই কোর্স। সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সামাজিক পুনঃনির্মাণ সম্ভব হবে। সামাজিক পুনঃনির্মাণের মধ্য দিয়ে এই কোর্স সার্থক হবে এবং শিক্ষার্থীরা এ কোর্স থেকে অর্জিত জ্ঞান নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, সমাজে এবং পরিবারে প্রয়োগ করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার উপ-পরিষদ সম্পাদক রীনা আহমেদ।
বাসস/সবি/বিকেডি/২০৫৬/এএএ