ডিএনসিসির ১৮ ওয়ার্ডের উন্নয়নে সোয়া ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

249

ঢাকা, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এখানকার রাস্তাগুলো চওড়া হবে, ১৩টি খাল আছে, এগুলোর অনেক জায়গায় দখল হয়ে আছে। এই ১৩টি খাল পুনরুদ্ধার করে উন্নয়ন করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে।’ মেয়র আজ উত্তরখানের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
তিনি ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরখান কলেজিয়েট স্কুল মাঠে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসের সামনে এবং ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাথাইড় মাঠে তিনটি পৃথক জনসভায় অংশ গ্রহণ করেন।
এসময় মেয়র খাল দখলদারদের হুঁশিয়ার করে বলেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা হাত আর কারো নেই। আপনাদের হাত যতই লম্বা হোক না কেন, জনগণের হাতের চেয়ে লম্বা নয়।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ”যাদের ক্ষমতা আছে, যারা শুধু নিজের চিন্তা করে, জনগণের কী হবে তা চিন্তা করেনা। দখল হওয়া খালগুলো জনগণকে নিয়ে আমরা উদ্ধার করবো। জনগণ পাশে থাকলে খাল উদ্ধার হবেই। এই ঢাকা শহরের গার্জিয়ান আছে। আপনারাই তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন ভোটের মাধ্যমে। কেউ চাইলেই অবৈধভাবে কিছু করতে পারে না।’
তিনি বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করতে গেলে অনেক স্থাপনা ভাঙ্গা পড়তে পারে। ডিএনসিসির ম্যাপিং অনুযায়ী রাস্তার দুই পাশে যার স্থাপনাই থাকুক না কেন, সেগুলো ভেঙ্গে আমাদের রাস্তা করতে হবে। এ সময় দখলকৃত রাস্তা, খাল উদ্ধারে তিনি জনগণের সহায়তা চান।
তিনি বলেন, খাল উন্নয়নের যে ডিজাইন করা হয়েছে, সেখানে খালের দুই পাশে হাটার রাস্তা থাকবে, সেখানে গাছ লাগানো হবে, সাইকেল লেন থাকবে। এটি ব্যক্তিগত কারো জন্য নয়, বরং জনগণের জন্য।
নতুন ওয়ার্ডগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় সম্পর্কে মেয়র বলেন, এই এলাকার জন্য হোল্ডিং ট্যাক্সের রেট চার্ট করেছি, তবে কোন ঘর-বাড়ি থেকে এখনই ট্যাক্স নেয়া হবে না; রাস্তা, ফুটপাত ইত্যাদি নির্মাণ করার পরে ট্যাক্স নেয়া হবে। কিন্তু বাণিজ্যিক প্লট, কারখানা ইত্যাদি থেকে অবিলম্বে ট্যাক্স নেয়া হবে। ব্যবসা করবেন, ট্যাক্স দিবেন না এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, খাস জমিতে কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ, পার্ক, মার্কেট ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণই আমাদের শক্তি। মেহনতি ও খেটে খাওয়া মানুষসহ সকলের জন্য আমরা একটি সুন্দর ঢাকা শহর দেব।
মেয়র বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য আগে ড্রেন তৈরি করে তারপরে রাস্তা নির্মাণ করা হবে। ঝুলন্ত তারের জন্য প্রথম বারের মতো ডাক্টিং সিস্টেমের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে চলে যাবে।
উত্তরখানে এই তিনটি ওয়ার্ডে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মেয়রের পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নুল আবেদীন, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম মোল্লা, ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।