বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ড স্থাপনে নীতিমালা মানতে হবে : ডিএনসিসি মেয়র

544

ঢাকা, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বিলবোর্ড ও সাইনবোর্ড স্থাপনে নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন করার জন্য নীতিমালা রয়েছে। এগুলো লাগানোর সময় নীতিমালা মানতে হবে। আমরা এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি, মিডিয়ায় প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানিয়েছি, প্রত্যেকটি গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এমনকি মাইকিংও করা হয়েছে। অনেকেই গত দুই দিনে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে অনুমোদন নিয়েছেন।’ মেয়র আজ রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর গোলচত্বরে অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড উচ্ছেদের সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এ সময় ডিএনসিসি’র অনুমোদন নিয়ে নির্ধারিত মাপে সাইনবোর্ড স্থাপন করায় ওই এলাকার একজন ব্যবসায়ীকে মেয়র মিষ্টি খাওয়ান।
পরে এ কথা বলেন। জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখা তাদের সাইনবোর্ডের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দেয়ায় ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান।
মেয়র বলেন, ‘আমি সবাইকে বলব এই শহরটা কিন্তু আমাদের, এই শহরে আমরা উপার্জন করি। আমাদের বাচ্চারা পড়াশোনা করে, এই শহরে আমারা বড় হয়েছি। এ শহরকে ভালবাসতে হবে। যে ঘরে আমি থাকি সেই ঘরের প্রতি যদি মায়া না করি, যে ঘরে থাকি সে ঘরে যদি থুথু ফেলি, তাহলে হবেনা। এই যে আজকে বড় বড় ডেভেলপাররা কীভাবে তাদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিল, সিটি করপোরেশনকে কোন ধরনের ট্যাক্স না দিয়ে? এই শহরে আপনাদের এত বড় বড় ব্র্যান্ডিং করবেন, আপনি ব্যবসা করবেন, আর সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কোন ট্যাক্স দিবেন না, এটি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, জনগণ চায় ফুটপাত দিয়ে যেন নির্বিঘেœ হাঁটতে পারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফুটপাত সড়কে অবৈধভাবে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী নিলাম করে দিচ্ছি এবং সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি অপসারণ করছি। আমি জনগণকে অনুরোধ করবো আপনারা আমাদেরকে জানান। এরকম কোন কোন ফুটপাত ও রাস্তায় নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছে।
মেয়র জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি ফুটপাত ও সড়কে রাখা অবৈধ মালামাল উচ্ছেদ অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য গুলশান ২ নম্বরে আজ গুলশানে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ১৫০টি অবৈধ সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়।
বনানী ১১ নম্বর সড়কে অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ এর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রায় শতাধিক সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া সড়ক ও ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টির কারণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া প্রগতি সরণিতে অঞ্চল ৬ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের পরিচালনায় উচ্ছেদ অভিযানে মোট ৫২টি সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ইত্যাদি উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ফুটপাত ও সড়কে অবৈধভাবে মালামাল রাখায় তা নিলামে ৬৬ হাজার ৭০০ টাকা নিলামে বিক্রয় করা হয় এবং ৯টি মামলায় ৪৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত ৩ দিনে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ডিএনসিসিতে জমা দিয়ে সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড অনুমোদন নেন।
অভিযান চলাকালে অন্যন্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।