চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

773

চট্টগ্রাম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : চলতি অর্থবছরের জন্য ৩৪৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। প্রতি বছরের মতো এবারও সর্বোচ্চ বরাদ্দ রাখা হয়েছে বেতন ভাতা খাতে। এখাতে বরাদ্দের পরিমাণ ২২২ কোটি ২০ লাখ টাকা, যা মোট বাজেটের ৬৪ দশমিক ১৬ শতাংশ।
তাছাড়া গবেষণায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা, যা মোট বাজেটের ১ দশমিক ২১ শতাংশ। পণ্য ও সেবা বাবদ সহায়তা হিসেবে ৬০ কোটি ৯০ লাখ ও পেনশন ও অবসর সুবিধা হিসেবে ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এদিকে পরিবহন খাতে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ এর গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির খাতে ২ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫৬ লাখ টাকা।
আজ উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম সিনেট সভায় এ বাজেট ঘোষণা করা হয়। বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার।
সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর রবিউল হাসান ভুঁইয়া, বিভিন্ন হলের প্রভোস্টসহ সিনেট সদস্যরা। এছাড়াও অনলাইনে যুক্ত হয়েছিলেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খান, বাংলা একাডেমীর পরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীসহ অন্য সিনেট সদস্যরা।
বাজেট অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা চাহিদার বিপরীতে ৩৪৬ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে ইউজিসি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাব্য নিজস্ব আয় থেকে পাওয়া যাবে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বাকি ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঘাটতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সাথে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৩৩৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা সংশোধিত বাজেটের অনুমোদনও দেওয়া হয় সিনেট সভায়।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দু’টি বিষয়কে গুরুত্বারোপ করে সকল পরিকল্পনা তৈরি করেছে। তা হচ্ছে গবেষণা ও উন্নয়ন। আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ে চবির অবস্থানকে একটি সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা মান ও পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে।’
অধিবেশনে বন ও পরিবেশবিদ্যা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক দানেশ মিয়ার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রস্তাবনার জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে সরকারি নির্দেশনাও রয়েছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হতে পারে। তবে একাডেমিক কার্যক্রম কবে নাগাদ শুরু হতে পারে এ বিষয়ে কিছু বলেনননি তিনি।