জনপ্রিয় অভিনেতা কে এস ফিরোজ আর নেই

690

ঢাকা, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : জনপ্রিয় অভিনেতা কে এস ফিরোজ আজ ভোরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
অভিনেতা কে এস ফিরোজের মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ জানান, তার বাবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ৩০ আগস্ট থেকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইবার তার বাবার স্ট্রোক হয়। বুধবার দ্বিতীয় স্ট্রোকে উনার মৃত্যু হয়েছে।
শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে আজ বাদ জোহর বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নাদিয়া জানান।
কে এস ফিরোজ ১৯৬৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। মেজর হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭৭ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। তার পুরো নাম খন্দকার শহীদ উদ্দিন ফিরোজ। তিনি ১৯৪৬ সালের ৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। বরিশালের উজিরপুরের মশাং গ্রামে তাদের আদি নিবাস হলেও ফিরোজের জন্ম ঢাকার লালবাগে। তার বাবার নাম এ জে এম সাইদুর রহমান। তবে এলাকার মানুষ তার বাবাকে উজির মিয়া নামেই চিনতেন। কে এস ফিরোজের মা রাবেয়া খাতুন। ফিরোজ ১৯৭৪ সালের ১ নভেম্বর বিয়ে করেন। তিনি স্ত্রী মাধবী ফিরোজ এবং তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয়ে কে এস ফিরোজের পথচলা শুরু। এই দলের হয়ে তিনি অভিনয় করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ নাটকে।
মঞ্চ, টিভি ও সিনেমায় তার ছিলো সফল পদচারণা। বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও প্রশংসিত অংশগ্রহণ ছিলো তার। কে এস ফিরোজ জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন দর্শকপ্রিয় টেলিভিশন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক, পরিচালক, লেখক ও প্রযোজক হানিফ সংকেত তার এক ফেইসবুক স্টাটাসে বলেন, ‘ইত্যাদি’র শুরুর দিক থেকেই এর নিয়মিত অভিনেতা ছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা কে এস ফিরোজ।
তার মৃত্যুতে তিনি ইত্যাদি পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।