আক্রমণভাগে ব্রাজিলের পরবর্তী আস্থার নাম ভিনিসিয়াস, ম্যালকম, রিচারলিসন

1675

লন্ডন, ৩১ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : এবারের দলবদলের বাজারে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো বাদে যে তিনটি নাম নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে রিচারলিসন (ওয়াটফোর্ড থেকে এভারটন), ভিনসিয়াস জুনিয়র (ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে রিয়াল মাদ্রিদ) ও ম্যালকম (বর্দু থেকে বার্সেলোনা) অন্যতম।
এই তিনজনই ব্রাজিলিয়ান এবং তিনজনই চুক্তি শর্তানুযায়ী বড় অঙ্কের অর্থই লাভ করেছেন। অথচ তিনজনের কেউই এখনো ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামেননি। এমনকি রাশিয়া বিশ^কাপে তাদেরকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনাও করা হয়নি। যদিও তাদের তিনজনেরই বয়স এখনো কম এবং জাতীয় দলে ঢোকার জন্য তাদের হাতে এখনো অনেক সময় রয়েছে। এদের মধ্যে ভিনসিয়াসের বয়স মাত্র ১৮। মূল বিষয় হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিনিয়র পর্যায়ে এদের নিয়ে কেউই কোন চিন্তা শুরু করেনি।
এই তিনজনের একদিক দিয়ে মিল রয়েছে, এরা সকলেই স্ট্রাইকিং পজিশনে খেলে থাকেন। এই পজিশনে জাতীয় দলে নেইমার, উইলিয়ান, ডগলাস কস্তা, টাইসনদের মত পরীক্ষীত খেলোয়াড়রা রয়েছেন। তাদের সাথে আরো রয়েছেন ফিলিপ কুটিনহো। যাকে দিয়ে সহজেই আক্রমনভাগের শুন্যতা পূরণ করা যায়। আর এখন এই তিনজনের সাথে পাইপলাইনে আরো আছেন সান্তোসের রড্রিগো।
রাশিয়া বিশ^কাপে বেলজিয়ামের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু এই ম্যাচে আক্রমভাগ নয় বরং সেন্ট্রালি মিডফিল্ড নিয়ে দীর্ঘদিনের পুরোনো সমস্যায় আবারো ভুগেছে সেলেসাওরা। ১৯৭০ সালের বিশ^কাপ জয়ী দলের তারকা টোস্টাও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল নিয়ে নিয়মিত নিজের মতামত দিয়ে থাকেন। বিশ^কাপ যেহেতু এখন ইতিহাস, প্রতিটি দলের সামনেই এখন ঘরোয়া ফুটবলের প্রতি নজড় দেবার সময় এসেছে। আর জাতীয় দল থেকে ক্লাব ফুটবলে মনোযোগী হওয়ার কাজটা মোটেই সহজ নয় বলে মনে করেন টোস্টাও। তিনি লিখেছেন, ‘দুটি ক্ষেত্রের পার্থক্যটা বিশাল। তরুন কিছু কোচের পরিশ্রম সত্তেও এখনো ব্রাজিল দলে খারাপ কিছু অভ্যাষ রয়ে গেছে। সেন্টার-ব্যাকের খেলোয়াড়রা পেনাল্টি এরিয়ার মধ্যে থেকে যায়। সতীর্থদের লং পাস দিতে গেলে তা প্রায়শই এমন কাউকে দিতে হয় যাদের হয়ত প্রতিপক্ষ মার্ক করে রেখেছে। বক্সের মধ্যে ক্রসপাস বেশী হয়, এই সমস্যাগুলো পরবর্তীতের দলের ফলাফলে প্রভাব ফেলে।’
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেও ব্রাজিল প্রায়ই সমস্যায় পড়ে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লুইস সিলভা, হামবুর্গের হয়ে ওয়ালেস ও লিলির হয়ে থিয়াগো মাইয়া এখনো ইউরোপে নিজেদের সেরা ফর্ম প্রমান করতে পারেননি।