রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রণব মুখার্জীর শেষকৃত্য সম্পন্ন

341

নয়াদিল্লী, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২০ (বাসস) : ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জীর শেষকৃত্য আজ বিকেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হয়েছে।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতির শবদেহ শেষকৃত্যের জন্য নগরীর লোধি রোডের শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে প্রথাগত ঘোড়ার গাড়ির পরিবর্তে শবযানে করেই তার মরদেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
মস্তিষ্ক থেকে জমাট রক্ত অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারের পর ১০ আগস্ট থেকে গত ২১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সোমবার সেনা-হাসপাতালে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মারা যান। তখন থেকেই করোনায় আক্রান্ত প্রণব মুখার্জী কোমায় ছিলেন।
এর আগে, শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ সকাল ৯টা ১৫ মিনিট থেকে ১০টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দিল্লীর ১০ রাজাজি মার্গে তার সরকারি বাসভবনে রাখা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোভিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাবেক রাষ্ট্রপতির বাসভবনে গিয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর অন্যান্য মন্ত্রী ও বিশিষ্টজনেরা সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। এদের মধ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেঙ্কাইয়াহ নাইডু, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, লোক সভার স্পিকার ওম বিরলা, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও তিন বাহিনীর প্রধানগণ ছিলেন।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীও প্রণব মুখার্জীর বাসভবনে গিয়ে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি, প্রণব মুখার্জীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কংগ্রেস বিহারে নির্বাচনী প্রচারণা তিন দিনের জন্য স্থগিত করেছে।
রাষ্ট্রীয় বিশিষ্টজনদের পাশাপাশি প্রয়াত রাষ্ট্রপতিকে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের জন্য এক ঘন্টা সময় বরাদ্দ রাখা হয়। এদিকে, ভারত সরকার প্রণব মুখার্জীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
ইউনিয়ন কেবিনেট আজ প্রণব মুখার্জীর মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব রাখে। প্রস্তাবে বলা হয়, ‘মন্ত্রিসভা ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি শ্রী প্রণব মুখার্জীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।’
এতে আরো বলা হয়, ‘তার মৃত্যুতে দেশ একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ও অভিজ্ঞ নেতা এবং অসামান্য পার্লামেন্ট সদস্যকে হারাল।’
ভারতের ১৩তম রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী রাষ্ট্রপতি হওযার আগে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাই রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তার ব্যাপক অভিজ্ঞতা ছিল।