বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (চতুর্থ ও শেষ কিস্তি) : ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কারবালার বিয়োগান্তক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে : প্রধানমন্ত্রী

315

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (চতুর্থ ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-আশুরা
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে কারবালার বিয়োগান্তক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, প্রথমবারের মতো দেশের জনগণ বুঝতে পারে যে, সরকার তাদের সেবক এবং জনকল্যাণে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং আমরা তাঁর আদর্শ নিয়েই কাজ করছি।’
আদর্শভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করে আওয়ামী লীগ প্রধান অনুপ্রবেশকারীদের দলে ঢুকতে না দেয়ার জন্য দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের অপকর্মের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘কোন দল ক্ষমতায় থাকলে বিভিন্ন দিক থেকে কিছু লোক সেই দলে যোগ দেয়। দলে যোগদান করার পর তারা বিভিন্ন দুষ্কর্ম করে ও অপতৎপরতা চালায়। তখন দলকে তাদের দায়ভার নিতে হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কারণেই তিনি আগেই দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছিলেন যাতে সামরিক স্বৈরশাসকদের প্রতিষ্ঠিত দল থেকে আসা লোকজন বা যারা যুদ্ধাপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টরা আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার সুযোগ না পায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কারণ, তারা যদি দলে ঢুকতে পারে, তবে তারা দলের ক্ষতি করবে, এই ধরণের ঘটনায় লিপ্ত হবে এবং আমাদের ভাল নেতাকর্মীদের খুন করবে। আর অভ্যন্তরীন কোন্দলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছেও। কিন্তু সত্য উদঘাটন হলে দেখা গেছে যে, হঠাৎ করেই যারা দলে ঢুকেছে, তারাই এই সব অপরাধ ও অপকর্মগুলো ঘটিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (অনুপ্রবেশকারীরা) খুব ভাল আচরণ করে যে, এতে অনেক দলীয় নেতা তাদের গ্রুপ শক্তিশালী করার জন্য তাদেরকে কাছে টেনে নেয়। এইভাবে তাদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সুসংগঠিত এবং যার বিপুল সমর্থক ও জনসমর্থন রয়েছে।
করোনা মহামারি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সকল দেশের অর্থনীতিই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে।
শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে আরো বলেন, করোনা মহামারি সত্তে¦ও, আমরা আমাদের কর্মকা- অব্যাহত রাখতে পেরেছি। এর ফলে রেমিটেন্স রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি বলেন, মানুষ যেন দারিদ্রের কষাঘাত থেকে মুক্তি পেতে পারে সে লক্ষে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাজেক ঘোষণা করেছি, যাতে করে আমাদের কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, বাণিজ্য সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে। অর্থনীতির কর্মকা-ের চাকা সচল রাখার জন্য আমরা জিডিপি’র ৪ শতাংশ প্রণোদনা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য তাঁর দলীয় নেতাকর্মীসহ জনগণের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান।
তিনি করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার কর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানান।
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-কেএটি/২২০০/-শআ