বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকীতে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

1951

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে বংলাদেশ সরকারের পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের অধীনে গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সমাহার পরিচালিত ৫টি স্থাস্থ্য কেন্দ্র ও ৪টি স্কুলে ১৫ আগস্ট দিনব্যাপী বিশেষ দোয়া, মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত সমাহার (জেবি) কর্তৃপক্ষ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ সময় স্থানীয়দের মাঝে করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টির অংশ হিসাবে বিনামূল্যে মাস্ক ও হ্যান্ড সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়। পরে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার নানা সচেতনতামূলক বার্তাসহ স্থানীয়দের মাঝে খাবার পৌঁছে দেয়া হয়।
এদিনে শিক্ষর্থীরা ঘরে বসে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণ করে। বিজয়ীদের মাঝে সকাল ৯ টায় পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি পুরস্কার হিসাবে পেয়ে শিক্ষাথীদের মাঝে উৎসাহের আমেজ দেখা যায়। দুপুর ১২ টায় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা সমাহার-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিচালক মো. মিজানুর রহমান। প্রশাসনিক কমকর্তা মো. বেলাল উদ্দিন, কুমারভোগ পদ্মাসেতু স্কুলের প্রধান শিক্ষক জনাব মতিয়ার রহমান, কুমারভোগ পদ্মাসেতু স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তামান্না তাজরিন তমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল বর্তমান সরকারের পদ্মাসেতু প্রকল্পের অংশ হিসাবে স্কুল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র্রগুলো উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই প্রতিষ্ঠানগুলো বিনামুল্যে চিকিৎসা সেবা, বিনামুল্যে ওষুধ প্রদান, মিনি প্যাথলজি, ইপিআই কার্যক্রম, স্যাটেলাইট কার্যক্রম এবং স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষের অধীনে সমাহার ও এসএসইউএস সংস্থা দ্বারা পরিচালিত পদ্মাসেতু স্কুল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো মূলত পূনর্বাসন কেন্দ্রে বসবাসরত ও চরাঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষা ও চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে এ প্রতিষ্ঠানগুলো।