বাসস ক্রীড়া-৪ : ২০২২ সালে বিশ্বকাপে খেলার লক্ষস্থির করেছেন স্টারিজ

332

বাসস ক্রীড়া-৪
ফুটবল-বিশ্বকাপ
২০২২ সালে বিশ্বকাপে খেলার লক্ষস্থির করেছেন স্টারিজ
লন্ডন, ২৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : লিভারপুলের স্ট্রাইকার ড্যানিয়েল স্টারিজ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার আশা করছেন। একইসাথে চেলসির সাবেক সতীর্থ দিদিয়ের দ্রগবার মত ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত শীর্ষ পর্যায়ে থেকে খেলা চালিয়ে যাবার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
গত মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগটা স্টারিজ ধারে রেলিগেটেড ওয়েস্ট ব্রুমউইচের হয়ে খেলেছেন। তবে ২০১৮ রাশিয়া বিশ^কাপে গ্যারেথ সাউথগেটের বিবেচনায় ইংল্যান্ড দলে আসতে পারেননি। ইংল্যান্ডের হয়ে ২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২৮ বছর বয়সী স্টারিজ ৮ গোল করেছেন। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে অক্টোবরে লিথুনিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতেও তিনি ছিলেন। তবে জাতীয় দলের সতীর্থদের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর ঘটনা ঘরে বসে তাকে উভোগ করতে হয়েছে।
এ সম্পর্কে স্টারিজ বলেন, ‘কেউ কখনই বলতে পারেনা কি ঘটতে যাচ্ছে, আমি এবার ছিলাম না। এটাও নিশ্চিত নয় যে আগামীতে আমার সুযোগ আসবে। তবে এবার বিশ্বকাপে যাবার জন্য আমি দলকে সহযোগিতা করেছি। বাছাইপর্বে আমি বেশ কয়েকটি গোলও করেছি। কিন্তু বিশ্বকাপে যার খেলেছে তাদের জন্য আমি দারুন খুশী। কারন এই বিষয়গুলো কখনই ব্যক্তিগতভাবে নেয়া উচিত নয়। আমি সাউথগেটের কাছ থেকে অনেক ভালবাসা পেয়েছি। আমি মনে করি সে দারুন একজন মানুষ। ইংল্যান্ডের জন্য সে অনেক কষ্ট করেছে। তার কারনেই দলের সাফল্য এসেছে। বিশ্বকাপে আমি খেলতে না পারলেও ছেলেরা দারুন খেলেছে। তারা আমাদের দেশকে গর্বিত করেছে। তারা সবাইকে গর্বিত করেছে। তাদের সকলের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। রাশিয়ায় থাকাকালীন আমি রাহিম স্টার্লিং, হ্যারি কেন, জর্ডান হেন্ডারসন, ড্যানি রোস সকলের কাছেই বার্তা দিয়েছি। তারা সবাই আমার বন্ধু। এমনকি সাউথগেটকেও আমি বার্তা পাঠিয়েছি। দিনের শেষে ভাবতে হবে এটা শুধুমাত্র আমার বিষয় নয়, এটা পুরো দেশের বিষয়। তবে অবশ্যই সেখানে খেলতে না যাওয়াটা আমার দূর্ভাগ্য। আগামী বিশ্বকাপে আমি শতভাগ চেষ্টা করবো।’
লিভারপুলের সাথে স্টারিজের এখনো এক বছরের চুক্তি বাকি রয়েছে। এই মুহূর্তে সে ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু তিনি জানিয়েছেন দ্রগবাকে তিনি অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে চান। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি দিদিয়েরের মত খেলোয়াড়কে দেখেছি। সে যখন ২৬-২৭ বছরের ছিল তখন নিজেকে কিভাবে টিকিয়ে রেখেছিল তা আমি দেখেছি। তার বয়স যত বেড়েছে সে তত বেশী পরিণত হয়েছে।
বাসস/নীহা/০৯৩৫/স্বব