আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে মরিয়া সাব্বির

610

ঢাকা, ৯ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে গেল মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকেই ক্রিকেটের বাইরে আছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। তবে গেল মাস থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দক্ষ ব্যবস্থাপনায় ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করে কিছু ক্রিকেটার। তবে সময় বাড়ার সাথে-সাথে অনুশীলনে ক্রিকেটারদের তালিকা বড় হচ্ছে। আজ থেকে তালিকায় নাম তুলেছেন হার্ড-হিটার ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান।
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফিরতে পেরে খুশী সাব্বির। সেই সাথে দ্রুত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে তর সইছে না তার। আজ সংবাদমাধ্যমকে সাব্বির বলেন, ‘কোভিড-১৯এর কারনে দীর্ঘদিন ক্রিকেট না হলেও, আশার আলো দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান টেস্ট ম্যাচ খেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে কোভিড-১৯এর কারনে দীর্ঘদিন ধরেই ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিলো। সব খেলোয়াড়ই তাকিয়ে আছে কবে খেলা শুরু হবে সেদিকে। মাঝে-মাঝে তারা হতাশাও প্রকাশ করেছে। কিন্তু ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-পাকিস্তান যখন মাঠে খেলেছে, তখন আশা করা যাচ্ছে, অন্তত খেলা তো শুরু হয়েছে।’
দ্রুতই মাঠে খেলতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সাব্বির। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, সব ঠিকঠাক থাকলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারবো। এজন্যই আমরা অনুশীলন করছি। আমরা খেলার জন্য খুব উদগ্রীব হয়ে আছি। এজন্য ফিট হতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
করোনার কারনে গৃহবন্দি ছিলেন ক্রিকেটাররা। তবে এ সময় ক্রিকেটারদের ফিটনেস ধরে রাখতে গাইডলাইন দিয়েছে বিসিবি। সেগুলো অক্ষরে-অক্ষরে পালন করেছেন বলে জানান সাব্বির। তিনি বলেন, ‘আমি ২৫ মার্চ আমার বাড়ি রাজশাহীতে চলে গিয়েছিলাম এবং বাসায় থেকে বিসিবির গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। রাজশাহীতে অনুশীলনের সুযোগ পাইনি। করোনার কারণে নিজেকে বন্দী রেখেছিলাম। পরিবারের সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলাম। বাসায় কিছু জিম ওয়ার্ক করেছি। পরে রাজশাহীর ইনডোরে কাজ করেছি। সেখানে যখন কেউ থাকত না তখন একা গিয়ে অনুশীলন করেছি। এছাড়া ক্লেমনের একটি জিম আছে। সেখানে একাই সন্ধ্যায় বা সকালে জিম করেছি। এছাড়া ইনডোরে ব্যাটিং-বোলিং করেছি।’
প্রায় পাঁচ মাস পর হোম অব ক্রিকেটে ফিরতে পেরে দারুন খুশী সাব্বির। তিনি বলেন, ‘প্রায় পাঁচ মাস পর এখানে এসেছি। অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবো না, খুব ভালো লাগছে। এখানকার সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ চমৎকার। আমরা এখানে ওয়ান বাই ওয়ান অনুশীলন করছি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি।’