কোভিড-১৯ পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে কাজ করতে হবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

507

ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২০ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি কোভিড-১৯ পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ গ্রহণে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর অগ্রণী-ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তিনি বলেন,কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশি^ক প্রেক্ষাপট থমকে থাকা ‘রপ্তানি-বাণিজ্য’ দ্রুত গতিশীলতা পাবে। আর এ সুযোগ নিতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
এজন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে নিযুক্ত রাষ্টদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,বিশেষ করে সৌদি আরব, কুয়েত এবং উজবেকিস্থানে রপ্তানি বাড়াতে হবে। তিনি এ তিনটি দেশকে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান,এ দেশগুলোতে বাংলাদেশী পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই এ তিনটি দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্য-সম্প্রসারণের সুযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, এসব দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। সেজন্য বাংলাদেশ মিশন, বিশেষ করে,রাষ্ট্রদূতদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে।
টিপু মুনশি আজ রোববার ঢাকায় তাঁর সরকারী বাসভবনের ‘অফিস কক্ষে’ সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্থানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন,অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন,কোভিড-১৯’র কারণে পরিবর্তীত বিশ^-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে বিরাট সুযোগ এসেছে, এ সুযোগ সততার সাথে কাজে লাগাতে হবে। ইতোমধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাড়িয়েছে। বিশ^ মন্দা-অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে এবছর জুলাই মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৩ দশমিক শুন্য ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি হয়েছে।
তিনি গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রপ্তানি বাড়াতে রাষ্ট্রদূতদের অবদান রাখার আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,এ গুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। এসব বিষয় বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন,‘রাশিয়া একটি বড় বাজার। এ বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। এজন্যই উজবেকিস্থান বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্থানও বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতেও কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
উল্লেখ্য,গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রপ্তানি হয়েছে ২৬২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য। কুয়েতে রপ্তানি হয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২ দমমিক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য। অপরদিকে উজবেকিস্থানে রপ্তানি হয়েছে ১৯ দশমিক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।