বৈরুত বিষ্ফোরণে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি নাকোচ করেছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট

257

বৈরুত, ৮ আগস্ট, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : লেবাননের প্রেসিডেন্ট বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিষ্ফোরণের ঘটনায় যে কোন আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি প্রত্যাখান করে বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অথবা অবহেলা এই বিষ্ফোরণের কারণ হতে পারে। তিনি বলেন , ধ্বংসস্তুপের ভেতরে বেঁচে থাকা লোকদের সন্ধানে উদ্ধারকারীদের প্রাণান্তকর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবারের এই বিষ্ফোরণের পরে দেশটির শাসক শ্রেনী প্রবল জন অসন্তোষের মুখে পড়েছে, এতে অস্তত ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং রাজধানীর বিশাল এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে বন্দরের গোডাউনে বছরের পর বছর বিপদজ্জনক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ থাকার ঘটনাকে অনেক লেবানিজ মনে করে এর জন্য রাজনৈতিক সিস্টেম দায়ী। এমনকি প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন শুক্রবার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে “প্রতিবন্ধী” হিসেবে স্বীকার করে বলেছেন, এই রাজনৈতিক ব্যবস্থা “পুনর্বিবেচনা” করা দরকার।
তিনি এই ঘটনার “দ্রুত বিচারের” অঙ্গীকার করেছেন, তবে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি প্রত্যাখান করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিকে “প্রকৃত ঘটনা লঘু” করার প্রচেষ্টা হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা
করেন।
তিনি বলেন, “কি ঘটেছিল এ ব্যাপারে এই বিষ্ফোরণের সম্ভাব্য দু’টি কারণ হতে পারে , এটি অবহেলাজনিত অথবা বিদেশী হস্তক্ষেপে ক্ষেপণাস্ত্র বা বোমা হামলা হতে পারে।” বন্দরে বিষ্ফোরণের ব্যাপারে প্রথমবারের মতো দেশটির শীর্ষ সরকারী পর্যায়ে এ দাবী করা হলো।
রাসায়নিকের বিশাল চালানটি কিভাবে জ্বলে উঠেছিল তা স্পস্ট নয়, কর্মকর্তারা বলেছেন, সম্প্রতি ওয়্যারহাউসটির সংস্কার শুরু হয়েছিল, অনেকের সন্দেহ একই এলাকায় অথবা কাছাকাছি আতশবাজি মজুদ ছিল।
বিষ্ফোরণ স্খলের কাছে বন্দরের বিশাল খাদ্যশস্য মজুদ রাখা গুদামের ধ্বংসস্তুপে ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, ইতালি এবং অন্যান্য দেশের সমন্বিত উদ্ধারকারী দল অনুসন্ধান চালিয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে খাদ্য সরবরাহ এবং ধ্বংস হওয়া খাদ্য গুদামের মজুদের বিপরীতে গম আমদানির জন্য সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বয় নিয়ে আলোচনার জন্য রবিবারের ডাকা সম্মেলনে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তিনি অংশ নেবেন।
শুক্রবার বন্দরের কন্ট্রোল রুম থেকে ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে বিষ্ফোরণের সময় বেশ কিছু লোক সেখানে কাজ করছিল। জীবিত কাউকেই পাওয়া যায়নি। এই বিষ্ফোরণে ১ লাখ শিশু গৃহহীন হয়েছে।