নৌনিরাপত্তায় প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির আহবান রাষ্ট্রপতির

689

ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০১৮ (বাসস ) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ নৌপথের নিরাপত্তা বিধানে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮ আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান। আগামীকাল ৫ এপ্রিল থেকে নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু হচ্ছে।
অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রীনিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখার প্রচেষ্টায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৮’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের উপর দিয়ে শিরা-উপশিরার মতো বয়ে চলেছে ছোটো বড়ো অসংখ্য নদী। অতীতে কাঠের তৈরি ছোটো বড়ো পালতোলা নৌযান ছিল নদীপথে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান মাধ্যম। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে কাঠের তৈরি নৌযানের স্থলে আসে স্টিলের তৈরি নৌযান। যান্ত্রিক নৌযানের ব্যবহার নৌপথে যাত্রী পরিবহণ ও ব্যবসা বাণিজ্যে গতিশীলতা এনেছে।
আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান প্রক্ষাপটে এ বছরের নৌনিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য ‘নৌশিল্পে লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া, যাত্রা হবে নিরাপদ এটাই আমাদের চাওয়া’ যুক্তিযুক্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, নদীবেষ্টিত বাংলাদেশে নৌসপ্তাহ পালনের গুরুত্ব অপরিসীম। অন্যান্য পরিবহণের তুলনায় নৌপথ অধিকতর সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ। বর্তমান সরকার নৌপথের উন্নয়ন ও চলাচল উপযোগী রাখার প্রচেষ্টায় বিদেশ থেকে অত্যাধুনিক কাটার সাকশান ড্রেজার মেশিন ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন নদীপথে খনন কাজ শুরু করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তাছাড়া নৌযান চলাচলকে নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত করতে আধুনিক নৌযান তৈরি ও তাতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। আসন্ন কালবৈশাখী ও বর্ষা মৌসুমসহ বছরব্যাপী চলাচলরত নৌযানসমূহের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে নৌনিরাপত্তা সপ্তাহ পালন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।