বিশ্বব্যাপী ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার

217

জেনেভা, ৫ আগস্ট, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : বিশ্বব্যাপী ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এনিয়ে এ মহামারি ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে মোট ১ কোটি ৮১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গেল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মঙ্গলবার তাদের প্রাত্যহিক বুলেটিনে এ তথ্য জানায়। খবর তাস’র।
৪ আগস্ট মস্কো সময় ১১ টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ১ কোটি ৮১ লাখ ৪২
হাজার ৭১৮ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬ লাখ ৯১ হাজার ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৮৬২ জন আক্রান্ত এবং ৪ হাজার ২৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ডব্লিউএইচও এ পরিসংখ্যান তৈরি করে। দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি ৯৭ লাখ ৪১ হাজার ৭২৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে ১ লাখ ১১ হাজার ১২৯ জন আক্রান্ত এবং ২ হাজার ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এ অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৩৩৪ জনে দাঁড়ালো।
ইউরোপের দেশগুলোতে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এ পর্যন্ত মোট ৩৪ লাখ ২৫ হাজার ১৭ জনে এবং মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ মহাদেশে ২৮ হাজার ৯৬৪ আক্রান্ত এবং ৬৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এ পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪৭ হাজার ৫৭৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ অঞ্চলে ৫৫ হাজার ৬৪১ জন আক্রান্ত এবং ৮৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এ ভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে
মোট ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৭ জনে, ভারতে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৪৫ জনে, রাশিয়ায় ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪২৩ জনে, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৬২ জনে, মেক্সিকোতে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৬ জনে, পেরুতে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৮৫০ জনে, চিলিতে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪৯৩ জনে কলম্বিয়ায় ৩ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ জনে এবং ইরানে ৩ লাখ ১২ হাজার ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে তৈরি করা এ পরিসংখ্যান করোনাভাইরাসের প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যার কেবলমাত্র একটি আংশিক প্রতিফলন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, বিশ্বের অনেক দেশ কেবলমাত্র গুরুতর আক্রান্ত লোকদেরই করোনা পরীক্ষা করছে।