বাসস ক্রীড়া-১২ ফিকার অভিযোগকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিবি

192

বাসস ক্রীড়া-১২
ক্রিকেট-বিসিবি-ফিকা
ফিকার অভিযোগকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে বিসিবি
ঢাকা, ৪ আগস্ট ২০২০ (বাসস): ফ্র্যাঞ্চাইজি ইভেন্ট এর চুক্তি এবং আইসিসি ইভেন্ট থেকে খেলোয়াড়দের অর্থ প্রদানের বিষয়ে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশন (ফিকা) এর অভিযোগের তিব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ফিকার সম্প্রতি প্রকাশিত পুরুষ ক্রিকেটারদের ২০২০ সালের গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট রিপোর্টে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ থাকা যে ৬টি টুর্নামেন্টকে চিহ্নিত করেছে, সেখানে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর একমাত্র প্রতিষ্ঠিত লিগ বিপিএল। বাকি টুর্নামেন্টগুলো হলো, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা, আবু ধাবি টি-টেন, কাতার টি-টেন, ইউরো টি-টোয়েন্টি স্ল্যাম ও মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি এটিকে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন ’ বলে উল্লেখ করেছে। প্রকৃতপক্ষে বিপিএলের অর্থ প্রদানের বিষয়টি বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা উল্লেখ করেছে এবং আইসিসি ইভেন্টের পুরস্কার না দেওয়ার অভিযোগটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রিপোর্টটি প্রত্যাখ্যান করেছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড জানায়,‘ বিসিবি পরিস্কার ভাবে জানাতে চায় যে শুধুমাত্র চারজনের বেতনের বিষয়টি অমিমাংসিত রয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন বিদেশী খেলোয়াড় ও একজন কোচ। ২০১৮ সালে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে অংশ নেয়া কেবলমাত্র একটি দল এই কাজটি করেছে। ১৭০ জনেরও বেশী স্থানীয় ও বিদেশী খেরোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত লীগে এটি ছিল বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা।
২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের কোন এক সময় খেলোয়াড় ও কোচদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে কিছু অভিযোগ পেয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে ফ্য্রাঞ্চাইজিগুলো দায়িত্ব পালনের বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছে এবং সম্পুর্ন পাওনা পরিশোধ করেনি। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের বেতন সরাসরি পরিশোধের দায়িত্ব ফ্র্যাঞ্চাইজির।’
বিসিবি পরিস্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে অভিযুক্ত ফ্য্রাঞ্চাইজিদের এসব বিষয়ে ইতোমধ্যে আইনগত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে সিলেট সিক্সার তাদের কোচ ওয়াকার ইউনুস ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং তারকা ডেভিড ওয়ার্নার সহ আরো দুই খেলোয়াড়ের বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে।
তাছাড়া ইভেন্টের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বিসিবি বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করেছে এবং পরবর্তীতে অভিযুক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে অবশিস্ট বেতন পরিশোধের বিষয়ে আইনগত কার্যক্রম শুরু করেছে। এখানে উল্লেখ থাকে যে বিসিবি প্রত্যোকের সঙ্গে এবং প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তারা বিসিবির প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত রয়েছে।’
এদিকে আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানির টাকা পরিশোধ না করা সংক্রান্ত ফিকার অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিসিবি দাবী করেছে যে ইতোমধ্যে বোনাসের সব অর্থই পরিশোধ করেছে বোর্ড।
ফিকার রিপোর্টের প্রতিবাদ লিপিতে বোর্ড জানায়, ফিকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তাদের খেলোয়াড়দের আইসিসি ইভেন্ট থেকে পাওয়া প্রাইজমানির অর্থ বিতরণ করেনি বলে যে অভিযোগ করেছে সেটি সম্পুর্নভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
আইসিসির বিগত সবগুলো ইভেন্টের প্রাইজমানিই ইতোমধ্যে বন্টন করে দিয়েছে বোর্ড। এমনকি সর্বশেষ ২০১৯ সালে ওয়েলস ও ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি ক্রিকেট বিশ^কাপের প্রাইজমানিও। এমনকি কোন কোন খেলোয়াড়কে তার দক্ষতা অনুযায়ী বাড়তি প্রনোদনাও প্রদান করেছে বোর্ড ।’
বাসস/এমএইচসি/১৯২০/স্বব