বাসস ক্রীড়া-৮ : পেসারদের নিয়ে অম্লমধুর সমস্যায় রুট

131

বাসস ক্রীড়া-৮
ক্রিকেট-রুট
পেসারদের নিয়ে অম্লমধুর সমস্যায় রুট
ম্যানচেস্টার, ৪ আগস্ট ২০২০ (বাসস) : পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট শুরুর আগে দলের পেস ্আক্রমন নিয়ে ‘অম্লমধূর’ সমস্যায় ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। আগামীকাল শুরু হওয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের ১৪ সদস্যের দলে ছয় পেসার রাখে ইংল্যান্ড। এই ছয় পেসারকে নিয়ে মহাচিন্তায় পড়েছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। কারন দলের এই ছয় পেসারই দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। তাই কাকে রেখে, কাকে প্রথম টেস্টে খেলাবেন তা নিয়েই চিন্তা রুটের।
বোলিং আক্রমনে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে অভিজ্ঞ জুটি জেমস এন্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড। দু’জনই ফর্মে রয়েছেন। তাদের সাথে ফর্মে রয়েছেন জোফরা আর্চার, মার্ক উড, স্যাম কারান ও ক্রিস ওকসও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে নিজেদের সেরাটা প্রদর্শন করেছেন তারা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে রোটেশন করেই পেসারদের খেলিয়েছে ইংল্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট। কারন সাত সপ্তাহে ছয়টি টেস্ট ম্যাচ ছিলো ইংল্যান্ডের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সমান ৩টি করে টেস্ট। পেসারদের পর্যাপ্ত বিশ্রামের কারনেই এই ফর্মুলা অনুসরন করে ইংলিশরা।
করোনাভাইরাসের কারনে ঠাসা সূচি থাকায় পেসারদের টানা টেস্ট ম্যাচ খেলাটা কঠিনই হয়ে পড়ে। ইংল্যান্ডের ম্যানেজমেন্ট যুক্তি অনুযায়ী, কোন পেসারই ছয় টেস্ট খেলতে পারবেন না।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে সুযোগ পাননি অভিজ্ঞ পেসার ব্রড। তবে পরের দুই টেস্টে একাদশে সুযোগ পেয়ে ১৬টি উইকেট নেন তিনি। তৃতীয় টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৫শ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেন ব্রড। বিশ্বের সপ্তম বোলার হিসেবে এই নজির গড়েন তিনি। ৩৪ বছর বয়সে সেরা ফর্মে আছেন বলে দাবী ব্রডের।
ব্রডের চেয়ে চার বছরের বড়, সুইং মাস্টার এন্ডারসন রোটেশনের কারনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ও তৃতীয় টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী এন্ডারসন, দুই টেস্টে মাত্র ৫ উইকেট শিকার করেন। ১৫৩ টেস্টে ৫৮৯টি উইকেটের মালিক, এন্ডারসন আসন্ন টেস্টে জ্বলে উঠার অপেক্ষায়।
গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপের ঠিক আগ মূর্হুতে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটে আর্চারের। বিশ্বকাপের পর থেকেই নিজের জাত চিনিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সাথে আছেন মার্ক উড। দু’জনই দ্রুতগতি বোলাররের তকমা পেয়েছেন। ঘন্টায় ৯০ মাইল গতিতে বল করতে পারেন তারা। বাতাসের গতির সাথে পিচ ও কন্ডিশনের সুবিধাটা ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন তারা।
বাঁ-হাতি পেসার কারানের বোলিংএ বৈচিত্র্য রয়েছে। প্রতিপক্ষের ডান-হাতি ব্যাটসম্যানদের মাথা ব্যাথার কারন তিনি। ওভার দ্য উইকেটে বল করায় ডান-হাতি ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলতে পারদর্শী কারান। দেশের মাটিতে দলের হয়ে খেলা সবগুলো টেস্ট ম্যাচই জিতেছেন সারে বোলার কারান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে প্রধান ভূমিকা রেখেছেন ওকস। ব্রড ও এন্ডারসনের চেয়েও বোলিং গড় ভালো ওকসের। দেশের মাটিতে ২১ টেস্টে ৮১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
ছয় পেসারের সাথে পেস অলরাউন্ডার হিসেবে দলে আছেন বেন স্টোকসও। গেল এ্যাশজে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলিতের ১ উইকেটের জয় পাওয়া ম্যাচে দুর্দান্ত একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন স্টোকস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তিনি। বল হাতেও উজ্জল ছিলেন স্টোকস। ৯টি উইকেট শিকার করেন তিনি।
রুট বলেন, ‘বোলাররা দুর্দান্ত ফর্মের কারনে, তারা ভালো অবস্থায় রয়েছে। তাই এই অম্লমধুর সমস্যাটা দীর্ঘায়িত হতে পারে।’
বাসস/এএমটি/১৮৩৫/স্বব