পিছিয়ে পড়েও সেভিয়াকে পরাজিত করলো বায়ার্ন

337

সেভিল, ৪ এপ্রিল ২০১৮ (বাসস) : স্প্যানিশ দল সেভিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। থিয়াগো আলকানটারার হেডে বায়ার্নের জয় নিশ্চিত হয়।
শেষ ১৬’তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বিদায় করে দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল সেভিয়া। রামোন সানচেজ পিজুয়ানের নিজেদের মাঠে ৩২ মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার গোলে সেভিয়া যখন এগিয়ে যায় তখন আরেকটি অঘটনের অপেক্ষায় ছিল স্বাগতিক সমর্থকরা। কিন্তু কাল বায়ার্ন একটু বেশী সৌভাগ্যবান ছিল, ৩৭ মিনিটে ফ্র্যাংক রিবেরির ক্রসে জেসুস নাভাসের আত্মঘাতি গোলে সমতা ফেরানোর পরে দ্বিতীয়ার্ধে থিয়াগোর হেডে দলের জয় নিশ্চিত হয়। এই ফলাফলে সেভিয়া মূলত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল। আগামী সপ্তাহে আলিয়াঁজ এরিনাতে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বেভারিয়ান্সদের পরাস্ত করতে হলে অন্তত দুটি গোল দিতে হবে সেভিয়াকে।
এর আগে সোমবার সেভিয়া কোচ ভিনসেনজো মনটেলা বলেছিলেন প্রথমবারের মত তার দল চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ইতিহাস রচনা করেছে। কিন্তু এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ায় দারুন হতাশ মনটেলা।
লা লিগায়ও এবারের মৌসুমে নিজেদের দারুনভাবে প্রমান করেছে সেভিয়া। দ্বিতীয় লেগে বায়ানের্র মোকাবেলা করার ১০দিন পর কোপা ডেল রে ফাইনালে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে সেভিয়া। মনটেলা বলেছেন, প্রথমত বলতে হয় ভাগ্য আজ আমাদের সহায় ছিলনা। আজ আমাদের দলের ফলাফল (অন্তত ড্র) পাওয়াটা প্রাপ্য ছিল।
গত সাত বছরে ষষ্ঠবারের মত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবশ্য বায়ার্নই গতকাল ফেবারিট ছিল। আর একইসাথে ষষ্ঠবারের মত ইউরোপীয়ান শিরোপা জয়ে এখন তাদের সত্যিকারের ফেবারিট হিসেবেই মানা হচ্ছে।
বায়ার্ন কোজ জুপ হেইঙ্কেস বলেছেন, সেভিয়ার সামনে গোলের সুযোগ ছিল। বিরতির আগে সমতায় আসাটা মানসিক ভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। সে কারনেই পরবর্তীতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমরা নিতে পেরেছি।
গোলরক্ষক সার্জিও রিকোর পরিবর্তে ডেভিড সোরিয়াকে মূল একাদশে নামিয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন মনটেলা। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে কোন ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ম্যাচে খেলেননি সোরিয়া। আগের রাউন্ডে ইউনাইটেডের বিপক্ষে দুই গোল করা উইসাম বেন ইয়েডারও মূল একাদশে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞার কারনে এভার বানেগা বাইরে থাকা তার স্থানে নেমেছিলেন গুইডো পিজারো। এদিকে ৩৬ মিনিটে আরটুলো ভিডালের ইনজুরির সুবাদে হেইঙ্কেস মাঠে নামিয়েছিলেন কলম্বিয়ান তারকা হামেস রদ্রিগেজকে। ম্যাচের শুরুটা স্বাগতিকরা ভালভাবেই করেছিল। বেন ইয়েডারের কাছ থেকে সারাবিয়ার বল পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে ৩২ মিনিটে আর ভুল করেননি সারাবিয়া। সার্জিও এসকুডেরোর ক্রস থেকে বায়ার্ন লেফট-ব্যাক হুয়ান বারনাট বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে সারাবিয়া স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন। সেভিয়ার এই লিডটা তাদেও প্রাপ্য ছিল। কিন্তু এটা তারা ধরে রাখতে পারেনি। ৬ মিনিট পরে বায়ার্নের একটি আক্রমন থেকে সমতা আসে। রিবেরির ক্রসে পোস্টের সামনে দাঁড়ানো নাভাসের পায়ে লেগে বল জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোলের লজ্জায় ডুবে সেভিয়া।
বিরতির পরেউভয় দলই বেশ কয়েকটি আক্রমন চালিয়েছে। ফ্র্যাংকো ভাসকুয়েজের শট শেষ মুহূর্তে রক্ষা করেছেন জাভি মার্টিনেজ। এরপর মার্টিনেজের শট দারুনভাবে রুখে দিয়েছেন সোরিয়া। ৬৮ মিনিটে অবশ্য আর শেষ রক্ষা হয়নি। রিবেরর আরেকটি ক্রস থেকে অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়ানো থিয়াগো হেডের সাহায্যে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন।