কুমিল্লার শিশু-কিশোররা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠেছে

536

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১৩ জুলাই, ২০২০, (বাসস) : বাহারি ঘুড়িতে ছেয়ে গেছে কুমিল্লার আকাশ। অবসর সময়ে কুমিল্লার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার আকাশে উড়ছে বাহারি ঘুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, বেগুনি নানা রঙের ঘুড়ি আকাশে উড়ছে। দেখে মনে হচ্ছে, রঙের মেলা বসেছে আকাশজুড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে কুমিল্লার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশু-কিশোররা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছে। তাই বিকেলে একটু আনন্দ পেতেই তারা ঘুড়ি উড়াতে মেতে উঠছে। এসব ঘুড়ি উড়ানোর জন্য অনেকে বাড়ির ছাদ ও বাড়ি সংলগ্ন মাঠকে নিরাপদ স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছে। এক সময় ঘুড়ি ওড়ানো আর ঘুড়ি কাটার প্রতিযোগিতার রেওয়াজ ছিল। বিলীন হওয়ার পথ থেকে ঘুড়ি যেন নতুন জীবন পেল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনার ভয় উপেক্ষা করেই দিনে রাতে ছোট-বড় নানা বয়সী ঘুড়িপ্রেমী মেতেছেন এ উৎসবে। করোনাকালে কিশোর, যুবকদের বাজারমুিখ না হয়ে বাড়ির ছাদে কিংবা বাড়ির পাশের খালি মাঠে বসে এইসব ঘুড়ি উড়াতে দেখা গেছে।
বর্তমানে এ ঘুড়ির চাহিদা বাড়ায় ৫০ থেকে ৫০০ টাকায় প্রতিটি ঘুড়ি কিনছেন আগ্রহীরা। প্রতিদিন আকাশে দিন থেকে রাত অব্দি উড়ছে এসব ডিজিটাল রঙ্গিন ঘুড়ি। কুমিল্লার রেইকোর্স, তালপুকুর পাড়, বাগিচাগাঁত্ত, ঠাকাুরপাড়া, ধর্মপুর, টমসমব্রীজ ও চর্থার বিভিন্ন বাড়ির ছাদ ও খোলা মাঠে বাহারি রঙের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়। আকাশে চোখ মেললেই দেখা যায় ঘুড়ির লড়াইয়ের দৃশ্য। হালের নেটপ্রেমী কিংবা স্মার্টফোনে বুঁদ হওয়া তরুণ প্রজন্মকে মাঠে ফেরাতে দারুণ কাজ করছে ঘুড়ি। কুমিল্লার আকাশে কোনোটি আকারে খুব বড় ও দেখতে মনোহর। আবার কোনোটি আকারে খুবই ছোট যা দ্রুত উড়তে পারে। কুমিল্লার আকাশে যেসব ঘুড়ি দেখা যায়। তা হলো চারকোণা আকৃতির বাংলা ঘুড়ি, ড্রাগন, বক্স, মাছরাঙা, ঈগল, ডলফিন, অক্টোপাস, সাপ উড়তে দেখা যায়। কুমিল্লার ঘুড়ি প্রেমীদের সিয়াম বাসসকে বলেন, বর্তমানে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে তার বন্ধুরা মিলে বাড়ির ছাদে অথবা মাঠে গিয়ে ঘুড়ি উড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন। এগুলো দেখে এ করোনা সময়ের মাঝেও কিছুটা বিনোদন উপভোগ করে মুগ্ধ হচ্ছেন স্থানীয়রা।