বাসস দেশ-১৩ : রাজধানীতে ঘি বিক্রিতে জালিয়াতি : নিউ বাঘাবাড়িকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

169

বাসস দেশ-১৩
র‌্যাব-অভিযান-জরিমানা
রাজধানীতে ঘি বিক্রিতে জালিয়াতি : নিউ বাঘাবাড়িকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০২০ (বাসস): রাজধানীর মালিবাগে একটি প্রতিষ্ঠানে নিউ বাঘাবাড়ি ঘি বিক্রিতে জালিয়াতি করায় সমীর ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে তিনমাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।
ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিবাগ কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে অভিযান শেষে নিরাপদ খাদ্য আইন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। অভিযানের সহযোগিতায় ছিল র‌্যাব-৩।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বাসসকে জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স ঘি প্যাকেজিং ও সরবরাহের, কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা ঘি সংগ্রহ করে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে তা নিজেদের বলে বিক্রির অভিযোগে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান নিউ বাঘাবাড়ি সমীর ঘোষ স্পেশাল গাওয়া ঘি’কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক সমীর ঘোষ। প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে প্যাকেজিং ও সরবরাহকারী হিসেবে। কিন্তু বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা ঘি’য়ের প্যাকেট ও সরবরাহ করে পণ্যের গায়ে লিখছেন তিনি নিজেই উৎপাদনকারী। আইনে এটার কোনো সুযোগ নেই। তিনি মূলত সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে কিনে নিয়ে আসেন। যা নিজের উৎপাদিত বলে চালিয়েছেন, যা প্রতারণা।
তিনি বলেন,নিজের ঘি’য়ের প্যাকেটের গায়ে বেশ কিছু পুষ্টিগুণের কথা উল্লেখ করেছেন, যা তিনি করতে পারেন না। কারণ তার ব্র্যান্ডের ঘি’য়ের পুষ্টিগুণের ল্যাব টেস্ট বা ল্যাব সার্টিফায়েড না। তিনি ঘি’য়ের মতো একটি রুচিশীল পণ্যের প্যাকেজিংটা করছিলেন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে ।
পলাশ কুমার বসু বলেন, তার অফিস থেকে বেশ কিছু স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে লেখা তিনি সিডনিতে ঘি রফতানি করেন। অথচ তার এক্সপোর্ট লাইসেন্স নেই। অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে যদি ঘি রফতানি করেন তাহলে ল্যাব টেস্ট সার্টিফায়েড হতে হবে, কাস্টমসের ছাড়পত্র লাগবে। অননুমোদিত ঘি রফতানি করলে দেশের বদনাম হবে। যদিও তিনি সেটা করে আসছিলেন। এছাড়া তিনি ঘি এর প্যাকেটে বাংলাদেশের পতাকাও ব্যবহার করেছেন যা আইন বর্হিভূত।
মালিকের ঘি’য়ের ব্র্যান্ডের নাম সমির ঘোষ। কিন্তু তিনি এর সাথে ‘সমির ঘোষের স্পেশাল গাওয়া ঘি’ লিখেছেন। এমন চটকদারি বিজ্ঞাপনের ব্যবহার মানুষকে প্রতারণা করার শামিল। কারণ তার এটার অনুমোদন নেই।
পলাশ কুমার বসু বলেন, এসব অভিযোগের কোনোটারই সদুত্তর দিতে পারেননি সমির ঘোষ। যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ও নিরাপদ খাদ্য আইনের বিভিন্ন ধারায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। তিনি নগদে ১০ লাখ টাকা জরিমানা পরিশোধ করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার আরও বলেন, জব্দ করা পাঁচরকমের ঘি’তে কোনো কেমিক্যাল রয়েছে কি-না, যা খালি চোখে দেখা যায় না। তা পরীক্ষার জন্য বিএসটিআই ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যদি পরীক্ষায় অস্বাস্থ্যকর ও কেমিক্যাল জাতীয় কিছু মেলে তাহলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
বাসস/এমএমবি/১৮২৪/কেকে