দারিদ্র্য বিমোচনে দায়িত্বশীল বাণিজ্যিক আচরণ এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি মানিবকতা প্রদর্শন করতে হবে : রাবাব ফাতিমা

212

ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা কোভিড-১৯ সংকটকালে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র বিমোচনে দায়িত্বশীল বাণিজ্যিক আচরণ এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রতি মানবিকতা প্রদর্শণ করতে উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক অংশীদারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাবাব ফাতিমা বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইএলপিএফ) এর একটি সাইড ইভেন্টে বক্তব্য প্রদানকালে এ আহবান জানান। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
কানাডার পক্ষ থেকে আয়োজন করা ‘দারিদ্র্য বিমোচন বৈশ্বিক অগ্রগিত অব্যাহত রাখা ও এগিয়ে নেয়া : কোভিড-১৯ এর সংকট মোকাবোলা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল এ আলোচনায় তিনি বলেন, “দারিদ্র্য বিমোচন এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অর্জন আজ তীব্র ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এটি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংরক্ষণবাদের সময় নয়; এটি বৈশ্বিক সংহতিকে বহুগুণ বৃদ্ধি করার সময়”।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সাহসী, অটল, জনকেন্দ্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করায় বাংলাদেশের লাখ-লাখ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ পরিপ্রক্ষিতে শেখ হাসিনা সরকার গৃহীত দারিদ্র্য বিমােচন কৌশলসমূহ যেমন- ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা বলয় স¤প্রসারণ, আর্থিক প্রণোদনা, নারী ও যুব শিক্ষা, লিঙ্গসমতা, আইসিটি ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার, শক্তিশালী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কর্মসূচি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা বিনির্মাণ ইত্যাদি সুধিজনদের সামনে তুলে ধরেন বাংলােদেশর স্থায়ী প্রতিনিধি।
ইভেন্টটিতে দারিদ্র বিমোচন’, ‘কোভিড-১৯ থেকে পূনরুদ্ধার ও নতুন করে যাত্রা শুরু’, এসিডিজ-১ : কোনো দারিদ্র্য নয়, অব্যাহত অগ্রগিত’-এসব পরস্পর সম্পর্কযুক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কানাডার জাতীয় উপদেষ্টা কাউন্সিল এবং বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। এতে অংশ নেন কানাডার শিশু, পরিবার ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী আহেমদ হুসেন। তিনি বৈশ্বিক দািরদ্র্য বিমোাচন ও নাজুক উন্নয়নশীল দেশসমূহ যেমন, এলিডিস ও ক্ষুদ্র উন্নয়নশীল দ্বীপরাষ্ট্রগুলো প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য বিনির্মাণ এবং অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মধ্যম সারির ব্যবসা উন্নয়নের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রণালয়সমূহ ও বেসরকারি খাতের উন্নয়নে কানাডা সরকারের প্রতিশ্রুতি পূনর্ব্যক্ত করেন।
অনেক বক্তা তাদের বক্তব্যে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহেণের মাধ্যমে দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচনে সফলতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।