করোনায় বদলে যাওয়া নতুন নিয়মগুলো মনে রাখতে হবে স্টোকস-হোল্ডারদের

212

দুবাই, ৭ জুলাই ২০২০ (বাসস) : প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারনে তিন মাসের বেশি স্থগিত থাকার পর আগামীকাল থেকে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আবারো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ক্রিকেট। তবে করোনার কারণে খেলাটির ওপড় অনেক দিক-নির্দেশনা জারি করে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সেসব নিয়মগুলো অক্ষরে-অক্ষরে পালন করতে হবে ইংল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের।
করোনাভাইরাসের কারনে গেল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্রিকেটের পাঁচটি নিয়ম বদলে ফেলে আইসিসি। যতদিন পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে, ততদিন ক্রিকেটের নতুন এই পাঁচটি নিয়ম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আইসিসি।
আইসিসি নতুন নিয়মগুলো হলো করোনা সাব, বলে লালা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা, অতিরিক্ত রিভিউ সিস্টেমের অনুমতি এবং জার্সিতে বাড়তি লোগোর ব্যবহার।
বলে থুথু ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা :
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেলোয়াড়রা ম্যাচ চলাকালীন বল-এ থুথু ব্যবহার করতে পারবে না। কেউ যদি অভ্যাসবশত ভুলে ব্যবহার করে ফেলেন, তাহলে আম্পায়াররা সর্তক করে দিবেন। সর্তক করার পরও একই কাজ বারবার করলে ব্যাটিং দলকে অতিরিক্ত পাঁচ রান দেয়া হবে। প্রতি ইনিংসে একটি দলকে সর্বোচ্চ দুইবার সর্তক করা হবে। থুথু ব্যবহার হলে সেটি ভালোভাবে মুছে, আবার খেলা শুরু করতে হবে।
করোনা সাব :
গত অ্যাশেজ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চালু হয় কনকাশন সাব। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচে কোন খেলোয়াড় মাথায় আঘাত পেলে তার পরিবর্তে নামানো হয় একই ক্যাটাগরির অন্য খেলোয়াড়কে। সে নিয়মের সঙ্গে এবার যোগ হলো করোনা সাব। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন খেলোয়াড়ের মধ্যে যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা যায় বা আক্রান্ত খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তবে ম্যাচ রেফারির অনুমতি নিয়ে অন্য একজন খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যাবে। এ নিয়মটি শুধুমাত্র টেস্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
স্থানীয় আম্পায়ার দিয়ে খেলা পরিচালনা :
সাধারনত দ্বিপাক্ষীক সিরিজে একজন নিরপেক্ষ দেশের আম্পায়ার থাকে। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে দ্বিপাক্ষীক সিরিজে যারা স্বাগতিক থাকবে, তারা স্থানীয় বা ম্যাচ খেলা দু’দেশের আম্পায়ারদের দিয়েই খেলা পরিচালনা করা যাবে। কারন ভ্রমনে বিধি-নিষেধ থাকার কারনে নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে এই মূর্হুতে ম্যাচ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তাই আইসিসিই তাদের আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিদের প্যানেলভুক্ত আম্পায়ারদের মধ্য থেকে আম্পায়ার ও রেফারি ঠিক করে দিবে।
অতিরিক্ত ডিআএস :
সাধারনত টেস্টে ২টি, ওয়ানডে ও টি-২০তে একটি করে ডিআরএস ব্যবহার হতো। কিন্তু করোনা পরবর্তী টেস্টে প্রতি ইনিংসে তিনটি ডিআরএস, ওয়ানডে ও টি-২০তে দু’টি করে ডিআরএস নেয়া যাবে। অর্থাৎ করোনার কারনে তিন ফরম্যাটে একটি করে ডিআরএস বেড়ে গেল।
জার্সিতে বাড়তি লোগো :
আগামী ১২ মাসের জন্য জার্সিতে বাড়তি লোগো ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। তবে সেটি ৩২ স্কয়ার ইঞ্চির বেশি হতে পারবে না। খেলোয়াড়দের বুকে লোগো থাকবে। আগে টেস্টে এটি ব্যবহার হতো না। শুধু ব্যবহার হতো ওয়ানডেতে। এছাড়া বাকি তিনটি লোগো ব্যবহারের নিয়মনীতি আগের মতোই থাকবে।