বিদেশি বাসিন্দাদের জন্য হজ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে সৌদি আরব

308

রিয়াদ, ৭ জুলাই, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : সৌদি আরব তাদের দেশে থাকা বিদেশি নাগরিকদের জন্য সোমবার হজের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়ে বলেছে, তারা হজযাত্রীদের ৭০ শতাংশ পূরণ করবে। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর স্বল্প পরিসরে হজ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর তারা এ কাজ শুরু করলো। খবর এএফপি’র।
সৌদি আরব জানিয়েছে, আগে থেকেই সৌদি আরবে রয়েছেন কেবলমাত্র এমন প্রায় এক হাজার হজযাত্রীকে তারা এ বছরের হজ পালনে অংশ নেয়ার অনুমতি দেবেন।
পাঁচ দিনের এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান জুলাই মাসের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর ২৫ লাখ মুসলিম হজব্রত পালন করেন।
হজ মন্ত্রণালয় জানায়, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো আগের কোন স্বাস্থ্যগত জটিলতা নেই এমন ২০ থেকে ৬৫ বছর বয়সের বিদেশি নাগরিকদের হজের নিবন্ধন করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আগ্রহী হজযাত্রীদের
https://localhaj.haj.gov.sa ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরো জানায়, এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুক্রবার পর্যন্ত চালু থাকবে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বাকি ৩০ শতাংশ হজযাত্রী সৌদি নাগরিকরা পূরণ করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন এমন চিকিৎসক ও নিরাপত্তা কর্মীরা কেবলমাত্র এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের সুযোগ পাবেন।
সরকারি সৌদি প্রেস এজেন্সি পরিবেশিত মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি করা ডাটাবেজ থেকে তাদের নির্ধারণ করা হবে।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, পবিত্র মক্কা নগরীতে পৌঁছানোর আগে হজযাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে এবং হজব্রত পালনের পর বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গত মাসে সৌদি আরব ঘোষণা দেয় যে এ বছর তারা ‘অত্যন্ত স্বল্প পরিসরে’ হজ পালন করবে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরবে সবচেয়ে বেশি মাত্রায় কোভিড- ১৯ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে এর লাগাম টেনে ধরতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
সৌদি আরবের আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো যাতে সৌদি আরবের বাইরে থেকে আসা মুসলমানদের হজ পালন থেকে বাদ দেয়া হয়। এতে বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। আবার অনেক দেশ স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকার কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এটিকে মেনে নেয়।
উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ সৌদি আরবে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজারে দাঁড়িয়েছে।