কোভিড মোকাবিলায় ১ হাজার কৃষককে অ্যামচেমের সহায়তা

617

ঢাকা, ৫ জুলাই,২০২০ (বাসস) : কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে কৃষকদের উপার্জনমুখী কার্যক্রম টিকিয়ে রাখতে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) প্রান্তিক কৃষকদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। এর আওতায় সিরাজগঞ্জের ১ হাজার কৃষক ও তার পরিবারকে ২৬’শ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে, যাতে তারা কৃষি কাজে বিনিয়োগের পাশাপাশি জীবিকা উপার্জনের টেকসই উপায় খুঁজে পাই।
রোববার এক অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবে মিল্লাত,অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ,ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক তার বক্তব্যে বলেন,করোনার দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ ও এদেশের কৃষকেরা বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি। এটি মোকাবিলায় সরকার কৃষিখাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ভর্তুকিসহ প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছে। এবারের বাজেটে কৃষিখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার কারণে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবিলা করতে হলে খাদ্য উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করছে। যাতে করে দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি না হয়, খাদ্য আমদানি করতে না হয়। আমাদের লক্ষ্য হলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের সম্ভাব্য খাদ্য সংকটে আর্তমানবতার সেবায় বাংলাদেশ যাতে তার উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য নিয়ে সহযোগিতা করতে পারে।
তিনি আরো বলেন,প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনা দুর্যোগের মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা গেছে। ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধান বীজ, আমন ধান বীজ ও পাট বীজ কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। আমন ও রবি মৌসুমে উৎপাদন বাড়াতে এসব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
ড. রাজ্জাক বলেন,যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে কৃষি কর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদান,কৃষি সম্পর্কিত গবেষণা ও কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে বরাবর সহায়তা করে আসছে। এর পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে তাদের অংশগ্রহণ আমাদেরকে উপকৃত করছে। তিনি কোভিড পরিস্থিতিতে কৃষকদের সহায়তা করায় অ্যামচেমকে ধন্যবাদ জানান।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার কোভিড পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন ও কৃষিখাতে নেয়া কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন,করোনা দূযোর্গ মুহূর্তে কৃষি অর্থনীতির অন্যতম প্রাণশক্তি। তাই কৃষিখাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি কর্মসূচিতে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে অ্যামচেম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন,কৃষকদের এই সহায়তা কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো- করোনার মধ্যে তাদের উপার্জনমুখী কার্যক্রম টিকিয়ে রাখা এবং সরকারের কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সংযোগ ঘটানো, যাতে তারা পরামর্শ ও সহায়তা পান।
তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে সিরাজগঞ্জের ১ হাজার কৃষককে সহায়তা করা হলেও পরবর্তীতে এর কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ হবে।