বাজিস-৬ : বরগুনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাই ফ্লো ন্যাজাল মেশিন

146

বাজিস-৬
হাই ফ্লো-ন্যাজাল
বরগুনা হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসায় হাই ফ্লো ন্যাজাল মেশিন
বরগুনা, ৫ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় হাই ফ্লো ন্যাজাল মেশিন প্রদান করেছে ‘আমরা আমাদের জন্য’ নামক একটি সামাজিক সংগঠন।
বরগুনার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ও সিভিল সার্জন ডা. মো. হুমায়ুন শাহিন খানের কাছে আজ একটি হাই ফ্লো ন্যাজাল মেশিন হস্তান্তর করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই আরো একটি সরবরাহ করা হবে বলে উদ্যোক্তরা নিশ্চিত করেছেন।
সাড়ে ৪ লাখ টাকা দামের প্রথম মেশিনটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন ‘আমরা আমাদের জন্য’ সংগঠনের পক্ষে সাংবাদিক মুশফিক আরিফ, প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব দাস, পাবলিক পলিসি ফোরামের সভাপতি হাসানুর রহমান, লোক বেতার স্টেশন ম্যানেজার সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী মনির হোসেন কামাল প্রমুখ। এ সময়ে বরগুনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন, ডা. কামরুল ইসলাম সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সাংবাদিক মুশফিক আরিফ জানান, ‘আমাদের জন্য আমরা’ নামের একটি সংগঠন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেদন জানিয়ে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন জটিল করোনা রোগীদের সেবায় ৯ লাখ টাকা সংগ্রহ করে দু’টি হাই ফ্লো ন্যাজাল মেশিন ক্রয় করে। ‘শুধু এ দু’টি মেশিনই নয় এর সাথে বিপি মেশিন, পালস অক্সিমিটার এবং কেএন-৯৫-মাস্কসহ আরও বেশ কিছু চিকিৎসা সমাগ্রী কেনা হয়েছে।’ জটিল করোনা রোগীদের যখন সাধারণ অক্সিজেন সিলিন্ডারে কাজ হয়না, আইসিউ বা ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন পড়ে তখন এই মেশিন দিয়ে আইসিইউ বা ভেন্টিলেটরের কাছাকাছি পর্যায়ের সাপোর্ট দেয়া যায়। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে একটি মাত্র হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা মেশিন ছিলো যা রোগীর সংখ্যার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডা. কামরুল আজাদ জানান, ‘যেহেতু এ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন মেনিফোল্ড সিস্টেম আছে সেহেতু ‘হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলা’ মেশিন ক্রিটিক্যাল করোনা রোগীদের জন্য অনেকটাই সাপোর্ট দেবে।’ তিনি বলেন, ‘সাধারণ সিলিন্ডারের মাধ্যমে প্রতি মিনিটে সাধারণত ১৫ লিটারের বেশি অক্সিজেন দেয়া যায় না। এ কারণে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তখন আইসিইউ প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই মেশিনের মাধ্যমে একজন রোগীর জন্য প্রতি মিনিটে ৭০ থেকে ৮০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। তাছাড়া আইসিইউ কিংবা ভেন্টিলেটর পদ্ধতিতে যেমন হাইলি স্কিল্ড ম্যানপাওয়ার লাগে, এই মেশিন ব্যবহারে তার প্রয়োজন হয়না। যেকোন চিকিৎসক, নার্স বা টেকনোজিস্ট এটা একবার দেখেই ব্যবহার করতে পারেন।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাসপাতালেই এ মেশিন পৌঁছানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তবে সারা দেশে তা পৌঁছতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ এগিয়ে এলে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।’ মেশিন ক্রয়ের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেয়া হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৫৪০/কেজিএ