581

কুমিল্লায় সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ : বাম্পার ফলনে কৃষকরা খুশি
কুুমিল্লা (দক্ষিণ), ৪ জুলাই, ২০২০ (বাসস) : জেলায় এ বছর ১০ হাজার ৪৬৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাটের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল আর সার সঙ্কট না থাকার ফলে কুমিল্লায় এ বছর সোনালী আঁশ পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর যথাসময়ে খড়া, ভালো বৃষ্টিপাত, ভালবীজের সহজলোভ্যতা এবং সারের সঙ্কট না থাকার কারণে লক্ষমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়েছে। আবাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল, তার চেয়ে ৫শ হেক্টর বেশি জমিতে পাটের চাষ হয়েছে। এখন পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষে খরচ হয়েছে প্রায় আট হাজার টাকা। বড়ইকৃষ্ণপুর গ্রামের পাটচাষী মোতালেব মিয়া জানান, তিনি এ বছর ২ বিঘা জমিতে পাট রোপন করেছিলেন। ফলন ভাল হওয়ায় তিনি খুশি। রোগবালাই মুক্ত পাটের আঁশ ছাড়াচ্ছেন। একই কথা জানালেন, পিপিয়া গ্রামের পাট চাষী করিম মোল্লা। তিনি পাটের নায্য মূল্য আরও বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, এক সময়ে জেলার অনেক কৃষক পাট চাষ করত। এখনও পাট চাষে কৃষকের আগ্রহ আছে। তাই নায্য মূল্য পেলে অনেকেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকবেন।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাটজাত দ্রব্যের ব্যবহার কমে যাওয়ায় কুমিল্লায় পাটের চাষাবাদ কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায় হওয়ায় এ জেলায় ধীরে-ধীরে পাটের চাষাবাদ বাড়তে শুরু করেছে। পাটের চাহিদা বাড়ায় কুমিল্লার কৃষকেরা বিগত মৌসুমের তুলনায় চলতি মৌসুমে অধিক পাট চাষ করেছেন। এ জেলায় এ বছর ১০ হাজার ৪৬৮ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাটের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি, তোষা জাতের পাট। মৌসুমের এই সময়টাতে পাটের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক সুরজিত চন্দ্র দত্ত বাসসকে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই মৌসুমে কুমিল্লায় পাটচাষ করায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।