বড় কোন চুক্তি না করলেও লিভারপুল শীর্ষেই থাকবে : ক্লপ

244

লন্ডন, ১ জুলাই ২০২০ (বাসস) : ট্রান্সফার মার্কেটে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি কখনই বিশ^াস করেন না লিভারপুল বস জার্গেন ক্লপ। সাত ম্যাচ হাতে রেখেই গত সপ্তাহে ৩০ বছর পর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিশ্চিত করেছে লিভারপুল।
করোনাভাইরাসের কারনে তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত মাসের মাঝামাঝিতে প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়ায়। আর এবারের এই করোনা পরিস্থিতি প্রিমিয়ার লিগসহ বিশে^র প্রায় সব লিগের ট্রান্সফার মার্কেটেই বিরাট একটি প্রভাব ফেলবে। কিন্তু ক্লপ বলেছেন এই মুহূর্তে বড় বাজেটের কোন চুক্তি করাটা সহজ নয় এবং সেটি সঠিক কাজও হবে না।
ইতোমধ্যেই ক্লাব সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবি লিপজিগের স্ট্রাইকার টিমো ওয়ার্নারকে নিয়ে চেলসির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে না। অথচ ওয়ার্নারের এ্যানফিল্ডেই আসার কথা ছিল। লিভারপুল ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়াদের মধ্যে অন্যতম হলেন জার্দান শাকিরি ও এ্যাডাম লালানা।
ক্লপ বলেছেন, ‘কোভিড অবশ্যই আসা এবং বেরিয়ে যাওয়া উভয় বিষয়ের উপর প্রভাব ফেলেছে। এটাই স্বাভাবিক। এবারের গ্রীষ্মটা অন্যান্যবারের মত এত ব্যস্ত হবে না। কিন্তু ট্রান্সফার উইন্ডো বছরের শেষের দিকেও খোলা থাকলে আমারা হয়ত কিছু করতে পারি। তবে বর্তমান দলটির ওপরই আমার আস্থা আছে। এই দলটিতে এই মুহূর্তে কোন পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই।’
লিভারপুল বস আরো বলেছেন তার দলের প্রথম ১৬ থেকে ১৭ জনই সম পর্যায়ের খেলোয়াড়। যে কারনে মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ ব্যয়ের কোন মানে হয়না।
২০১৮ সালে সর্বশেষ বড় বাজেটে গোলরক্ষক এ্যালিসন বেকারকে কিনেছিল লিভারপুল। রোমা থেকে এই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষককে উড়িয়ে আনতে লিভারপুলের ব্যয় হয়েছিল ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড। এরপর থেকে সব চুক্তিই হয়েছে ছোট পরিসরে। টিনএজার হার্ভে এলিয়ট ও সেপ ফন ডান বার্গ ক্লাবে যোগ দেন আদ্রিয়ান ও টাকুমি মিনামিনোর সাথে। এর মধ্যে এ বছর জানুয়ারিতে এ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জাপানের মিনামিনো আরবি সালজবার্গ থেকে ৭.২৫ মিলিয়ন পাউন্ডে এ্যানফিল্ডে যোগ দেন।
তবে ক্লাবের বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দেওর সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির দিকেই এখন মনোযোগী হয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ক্লপ জানিয়েছেন এক্ষেত্রে তরুণদের ওপরই লিভারপুল বেশী নজড় দিচ্ছে। ওয়েলসের অনুর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের খেলোয়াড় নিকো উইলিয়ামস ইতোমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন। তার সাথে আরো রয়েছেন একাডেমীর কার্টিস জোনস ও তরুন ফরোয়ার্ড এলিয়ট।
লিভারপুল বস ভালভাবেই জানেন আগামী বছর তার দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ অনেক বেশী থাকবে।