বাসস বিদেশ-১২ : ইসরাইলীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনীরা

461

বাসস বিদেশ-১২
ইসরাইল-ফিলিসস্তিনী
ইসরাইলীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনীরা
রামাল্লাহ, ফিলিস্তিনী অঞ্চল, ৩০ জুন, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : একটি বিতর্কিত মার্কিন পরিকল্পনার পাল্টা প্রস্তাবে ইসরাইলের সাথে দীর্ঘকাল যাবত স্থগিত শান্তি আলোচনা নতুন করে শুরু করা এবং ভুখন্ড বিবাদে “ ছোটখাট “ ছাড় দিতেও প্রস্তুত রয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা মহলে প্রেরিত ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের এক লিখিত বার্তা প্রত্যক্ষ করার পর সোমবার এএফপি জানায়, ফিলিস্তিনীরা ২০১৪ সালের থেমে থাকা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা পুনরায় শুরু করাতে চায় এবং আলোচনা যেখানে থেমেছিল তারা সরাসরি সেখান থেকেই আলোচনাটা শুরু করতে প্রস্তুত।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শ্যামায়েহ গত ৯ জুন বলেছেন, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ মার্কিন প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে একটি খসড়া দাঁড় করেছে।তবে তখন তিনি ইসরায়েলিদের সাথে সরাসরি আলোচনার কোনো কথা উল্লেখ করেনি। এর আগে
ইসরাইলের জোট সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রস্তাবের ব্যাপারে ১ জুলাই থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহনে উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনস্থ করেছিল।
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ সোমবার বলেন, নতুন করে করোনভাইরাস সংক্রমণ এখনও বাড়তে থাকায় পশ্চিম তীরের কোনো সংযুক্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সাথে সম্পর্কহীন যে কোনো ইস্যুর ব্যাপারেই ভাইরাস না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’ তার অফিস পরবর্তিতে তার এ বক্তব্যের ব্যখ্যা দিয়ে বলেছে যে, এতে সংযুক্তি পরিকল্পনার কথাই সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে পশ্চিম তীরে ইসরাইলের দখলদারিত্ব ও ইহুদি বসতি স্থাপনের পথ সুগম করেছে। তবে এ প্রস্তাব আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত।
ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (পিএ) জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই চারপক্ষীয় মহলকে লেখা চার পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে উল্লেখ করেছে, ‘ফিলিস্তিনী ভূখন্ডের যে কোনো অংশকে ইসরাইলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দেয়া হলে, তা অবশ্যই এ যাবত স্বাক্ষরিত সমস্ত চুক্তিকে বাতিল করে দিবে। এতে আরো বলা হয়, ‘একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে ফিলিস্তিনীদের মতো ততটা আগ্রহ আর কারো নেই এবং শান্তির অনুপস্থিতিতে ফিলিস্তিনীদের মতো কাউকেই এতো ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে না।’
প্রস্তাবে বলা হয়, ‘আমরা আমাদের রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সীমিত সংখ্যক অস্ত্রশক্তি এবং একটি শক্তিশালী পুলিশ বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত আছি।’ এতে আরো বলা হয়, যে কোনো শান্তি চুক্তি মেনে চলার বিষয়কে পর্যবেক্ষণ করায় জাতিসংঘ কর্তৃক অনুমোদিত ন্যাটো’র মতো একটি আন্তর্জাতিক বাহিনীকে তারা মেনে নেবে।
বার্তাটিতে আরো প্রস্তাব করা হয়েছে যে, ১৯৬৭ সালের ৪ জুন ইসরাইলী বাহিনী পশ্চিম তীর দখল করার সময়কার অন্তুর্ভুক্তির প্রেক্ষাপটেই “পারস্পরিক সম্মতির ভেতর দিয়ে সীমান্তের কিঞ্চিত পরিবর্তন করতে হবে।”
বাসস/অনু- জেজেড/২২২৩/কেএমকে