মহানগরীর খালগুলো সংস্কার করে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন করা হবে : তাজুল

838

ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২০ (বাসস): স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার ঢাকা মহানগরীর সকল খাল সংস্কার করে পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলের আদলে এনে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, মহানগরী ও তার আশেপাশের বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।
তাজুল ইসলাম আজ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলের পাশে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে বাস্তবায়িত হজ্ব ক্যাম্প থেকে বনরূপা পর্যন্ত খননকৃত খালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এ সময় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় কাউন্সিলর মো. আনিছুর রহমান নাঈম ও জাকিয়া সুলতানাসহ সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায় অনুযায়ী ঢাকা ও তার আশেপাশের বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ সহ বিভিন্ন নদ-নদী দখলমুক্ত করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে একটি মাস্টার প্লান তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়াও ঢাকা শহরে যে সকল খাল রয়েছে সেগুলো সংস্কার করে রাজধানীর হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের একটি খালকে আরেকটি খালের সঙ্গে সংযুক্ত করে একটি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারলে রাজধানীর সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকল জনপ্রতিনিধিদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর আমরা যদি জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও সংবিধানের মূলমন্ত্র অনুযায়ী কাজ করি, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর অভিষ্ট লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।
তাজুল বলেন, জনগণের কল্যাণে জনপ্রতিনিধিদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠা, সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে সময়মত পালন করতে পারলে সহজেই দেশের উন্নয়ন অর্জিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মের জন্য যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন সেই সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের উন্নয়নে যে কোন নতুন প্রকল্প নিয়ে আসলে মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করবে।