বাসস দেশ-৩৪ : চট্টগ্রামে আরো দু’টি করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু হচ্ছে

359

বাসস দেশ-৩৪
চট্টগ্রাম- আইসোলেশন সেন্টার
চট্টগ্রামে আরো দু’টি করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু হচ্ছে
চট্টগ্রাম, ২৬ জুন, ২০২০ (বাসস) : বৈশি^ক মহামারি করোনার প্রকোপ বৃদ্ধির এ সময়ে নগরীতে আরো দু’টি করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে উঠছে। এর একটির উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যটি গড়ে উঠছে বিজিএমইএ’র উদ্যোগে।
মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বাকলিয়া কালামিয়া বাজার সংলগ্ন তুলাতলী এলাকায় গড়ে তুলেছেন ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার’ নামে করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রটি। এখানে ওয়েডিং পার্ক নামে যে কনভেনশন সেন্টারটি ছিল সেটিকে ১০০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করা হচ্ছে। আগামীকাল সকাল ১১টায় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এটি উদ্বোধন করবেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী বাসসকে জানান, ১০০ শয্যা টার্গেটে রেখে আপাতত ৭০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হচ্ছে। এজন্য ৮ জন ডাক্তার এবং ২০ জন নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় মিলাদ মাহফিলের পর শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এটি উদ্বোধন করবেন। এরপর কালই রোগী ভর্তি শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, আগত রোগীদের প্রথমে ইমার্জেন্সিতে নেয়া হবে। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রয়োজনে ভর্তির ব্যবস্থা নেবেন। এ জন্য রোগীকে কোথাও কোনো ফি দিতে হবে না। এটি পুরোপুরি বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার একটি কেন্দ্র। এছাড়া, ডাক্তার নার্সদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে সিলিন্ডারের অক্সিজেনের মাধ্যমে রোগীর প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করা হবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী আশা করেন, পরে এটিতে আরো আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম যুক্ত করার চেষ্টা থাকবে। তিনি ‘মুক্তি আইসোলেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম এবং হারুনুর রশিদ যথেষ্ট সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান।
এদিকে, নগরীর সল্টগোলায় অবস্থিত বিজিএমইএ হাসপাতালকে ৫০ শয্যার কোভিড আইসোলেশন সেন্টার বা ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শিগগির এটিও উদ্বোধন করা হবে।
জানা গেছে, প্রাক-আইসিইউ সেবা পর্যন্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ একটি বেজমেন্ট ও ৩ তলা মিলে সাড়ে ১৬ হাজার বর্গফুটের এ ফিল্ড হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রয়োজনীয় অনুমোদন সাপেক্ষে ৫ জন চিকিৎসক, ৭ জন নার্স, ২ জন ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ ২৩ জন নতুন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের তত্ত্বাবধানে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালকদের সার্বিক সহযোগিতায় এ ফিল্ড হাসপাতাল চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শ্রমিক অধ্যুষিত চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড ও কাটগর-হালিশহর এলাকার মধ্যবর্তী সল্টগোলায় অবস্থিত এ হাসপাতালে গার্মেন্টস পরিবারের শ্রমিক কর্মচারী ছাড়াও আশপাশের এলাকার করোনা আক্রান্ত হতদরিদ্র জনসাধারণকেও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
এ আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন রোগী ও কর্মরত ডাক্তার নার্সসহ সব কর্মচারীকে বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, করোনার নমুনা সংগ্রহ বুথসহ ল্যাব স্থাপনের বিষয়টিও বিজিএমইএ’র পরিকল্পনায় রয়েছে।
বাসস/কেএস/কেসি/২১৩৫/স্বব