বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি) : আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

172

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (২য় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সংগ্রাম-কমিশনিং
আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন শক্তিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

’৯৬ সালে সরকার গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় বিশ^মন্দা অব্যাহত থাকলেও তাঁর সরকার দায়িত্বে এসেই অত্যাধুনিক ফ্রিগেট ‘বানৌজা বঙ্গবন্ধু’ ক্রয় করে এবং নৌবাহিনীকে আরো সুসংগঠিত এবং সুসজ্জিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
পুণরায় ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে এই ক’বছর তাঁর দল টানা দায়িত্বে থাকায় জাতির পিতার ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার ওপর ভিত্তি করেই ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করে এবং সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীসহ প্রতিটি বাহিনীকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের নৌবাহিনীতে সাবমেরিন এবং এভিয়েশন সিষ্টেম যুক্ত হয়েছে। এখন আমাদের নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক।’
জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে পাশ^বর্তী দেশ ভারত এবং মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব অটুট রেখে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মামলা করে বাংলাদেশের জন্য বিশাল সমুদ্রসীমা প্রাপ্তিতে তাঁর সরকারের সাফল্যও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের সমুদ্রসীমা সমস্যা দূর করার উদ্যোগ নিলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ নেয়নি।’
তারা বিষয়টিতে ‘ওয়াকিবহাল’ ছিলেন কি না তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
সরকার প্রধান বলেন, ’৯৬ সালে সরকারের আসার পরই তিনি উদ্যোগ গ্রহণ করে অনেকদূর পর্যন্ত কাজ এগিয়ে রেখে যান এবং ২০০৮ সালে পূনরায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর সমুদ্রে বাংলাদেশের যে অধিকার তা আদায়ের প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে মিয়ানমার এবং ভারত-এই দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে আমরা আমাদের সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।
কোভিড-১৯ আঘাত হানার পূর্বে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্রের সীমা আমরা চল্লিশ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছিলাম। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৩ ভাগে উন্নীত হয়েছিল । কিন্তু হঠাৎ এক অদৃশ্য অশুভ শক্তি কোভিড-১৯ এর আক্রমণে সমগ্র বিশ^ আজ স্থবির হয়ে পড়েছে। যাতায়াত, সামাজিক যোগাযোগসহ সবকিছুতেই একটা ভীতির সঞ্চার হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অদৃশ্য শক্তিকে অনেক শক্তিধর দেশ ও মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা চাই এই অবস্থা থেকে মুক্তি, সারাবিশ্ব মুক্তি পাক এবং আমরাও যেন মুক্তি পাই।
এই করোনা ভাইরাসের হাত থেকে একদিন বাংলাদেশ এবং বিশ^ মুক্তি পাবে এবং মানুষ আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে বলেও দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী নৌসেনা এবং ‘অপারেশন জ্যাকপট’ পরিচালনা করতে গিয়ে শাহাদৎবরণকারী শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সদ্য কমিশনিং প্রাপ্ত যুদ্ধ জাহাজটির নাম ‘সংগ্রাম’ যথোপযুক্ত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সংগ্রাম করে এবং যুদ্ধ করেই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। ইনশাল্লাহ এই জাহাজটি আগামীতে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’
বাসস/এএসজি-এফএন/১৪৩০/-আরজি