বাসস দেশ-৩৪ (লিড) : বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

379

বাসস দেশ-৩৪ (লিড)
পিএমও-ডায়ালগ
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকা, ১৭ জুন ২০২০ (বাসস) : দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এবং ইউএস চেম্বার-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি অনলাইন সম্মেলনে (ওয়েবিনার) এ ব্যপারে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মহল এই আগ্রহ ব্যক্ত করে।
কোভিড ১৯ এর প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্য অব্যাহত রাখা, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থাপনা সংহতকরণ এবং বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনাময় প্রেক্ষিত বিবেচনায় দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগক্ষেত্রসমূহ সম্প্রসারিত করার বিষয়ে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যায় এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকালে এই অনলাইন সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পিএমও এবং রাজধানীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ভিভিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিল।
সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কারিগরি পর্যায়ে একাধিক সভা আয়োজন এবং বাংলাদেশ-ইউএস বাণিজ্য কাউন্সিল গঠন করার বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখার বিষয়েও উভয়পক্ষ সম্মত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানীসমূহের পক্ষ থেকে শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন সিইও বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বিনিয়োগ সুরক্ষার বিভিন্ন কারিগরি ও আইনী দিক সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করেন। তাঁরা বিনিয়োগ ও বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী এই বিশেষ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সম্মেলনটি পিএমও থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নিশা বিসওয়াল যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংগঠনসমূহের মধ্যে এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিজিএমইএ, বেসিস, এলএফএমএবি, বিএপিআই এবং বাংলাদেশ-মার্কিন যৌথ বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ সম্মেলনে সংযুক্ত ছিলেন। অন্যদিকে মার্কিন চেম্বারের পক্ষে শতাধিক মার্কিন কোম্পানী ও উদ্যোক্তাসহ ইউএসটিআর, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
মার্কিন চেম্বারের পক্ষে নিশা বিসওয়াল স্বাগত বক্তব্য প্রদানের পর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অগ্রগতির চিত্র এবং সাম্প্রতিক কোভিড ১৯ মহামারীর ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারের বিভিন্ন আর্থিক ও অ-আর্থিক প্রণোদনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত তিনি মার্কিন বিনিয়োগকারীদের সহায়তা প্রদানে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বাংলাদেশের অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ সুরক্ষায় আইনী সুরক্ষার বিভিন্ন দিক সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন। এসময় তিনি কোভিড ১৯ পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা পুনর্ব্যাক্ত করেন এবং মার্কিন বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে উদাত্ত আহবান জানান।
এরপর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে আইসিটি খাতের অপার সম্ভাবনার চিত্র মার্কিন বিনিয়োগকারীদের নিকট তুলে ধরেন এবং এ খাতে দেশে বিদ্যমান দক্ষ জনবল বিষয়ে তাদের অবহিত করেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের বিভিন্ন সুবিধাদি বিস্তারিতভাবে অবহিত করেন এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেন।
ইউএস চেম্বারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করা হয় এবং বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নে মার্কিন আগ্রহের কথা পুনর্ব্যাক্ত করা হয়।
সম্মেলনে যোগদানকারী মার্কিন কোম্পানীসমূহের মধ্যে অন্যতম হ’ল টার্গেট, শেভরন, প্রাইমা ডলার, জারা, এক্সন, মবিল, হেলথ কেয়ার ইত্যাদি।
বাসস/এএসজি-এফএন/২৩৪০/স্বব/আরজি