বাসস দেশ-১৯ : আইটি খাতে আয়ারল্যান্ডের ভিসা সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

122

বাসস দেশ-১৯
পররাষ্ট্রমন্ত্রী- আয়ারল্যান্ড
আইটি খাতে আয়ারল্যান্ডের ভিসা সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন আইটি বিষয়ে দক্ষ প্রায় ৬ লাখ নাগরিকসহ সকল বাংলাদেশিদের জন্য আয়ারল্যান্ডের ভিসা প্রক্রিয়া সহজিকরণ করতে অনুরোধ করেছেন।
ড. মোমেন মঙ্গলবার আয়ারল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন কভেনের সাথে ফোনে আলাপকালে এ অনুরোধ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইটি খাতে দক্ষ প্রায় ৬ লাখ জনগোষ্ঠীকে আয়ারল্যান্ড সে দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারবে। এ সময় তিনি তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের ক্রয়াদেশ বাতিল না করার জন্য আয়ারল্যান্ডের কোম্পানিগুলোকে অনুরোধ করেন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে বিভিন্ন দেশের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ড. মোমেন ।
তিনি বলেন,বিদেশী ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিলের কারণে বাংলাদেশে এ খাতে কর্মরত প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে, যাদের অধিকাংশ মহিলা। এ বিষয়ে বিদেশী ক্রেতাদের দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে অসাধারণ উদারতা দেখিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেওয়া এ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা আয়ারল্যান্ডের জনগোষ্ঠীর প্রায় এক চতুর্থাংশ।
এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. মোমেন ধন্যবাদ জানান।
মিয়ানমার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে কোন অগ্রগতি না হওয়ায় ড. মোমেন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গত তিন বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমার ফেরত নেয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অনুরোধ করেন।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের উচিত রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নেয়া। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আয়ারল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হলে রোহিঙ্গা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সিমন কভেনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৯০০/স্বব