বাসস দেশ-৩৬ : গুপ্তচরবৃত্তি ইস্যু দিল্লী-ইসলামাবাদ উত্তেজনাকে বাড়াতে পারে

379

বাসস দেশ-৩৬
ভারত-পাকিস্তান
গুপ্তচরবৃত্তি ইস্যু দিল্লী-ইসলামাবাদ উত্তেজনাকে বাড়াতে পারে
।। আমিনুল ইসলাম মির্জা ।।
নয়াদিল্লী, ১ জুন, ২০২০ (বাসস) : নয়াদিল্লীতে পাকিস্তান হাই কমিশনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শনিবারের গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে আরো টানাপোড়েনের সৃষ্টি করতে পারে।
ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় রোববার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের আইন প্রয়োগকারীর সংস্থা রোববার পাকিস্তান হাই কমিশনের দুই কর্মকর্তাকে আটক করেছে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কূটনৈতিক মিশনের সদস্য হলেও ওই দুই কর্মকর্তা যে ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত তা তাদের পদমর্যাদার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এ জন্য ভারত সরকার ওই দুই কর্মকর্তাকে ‘পারসোনা নন গ্রাটা’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।’
পরে, পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের এই কর্মকান্ডের জন্য পাকিস্তানের চার্জ দ্য এ্যফেয়ার্সের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়ে একটি অভিযোগপত্র প্রেরণ করে।
পাকিস্তানের চার্জ দ্য অ্যফেয়ার্সের কাছে তার মিশনের কোন সদস্য ভারতের জন্য কোন ধরনের ক্ষতিকর কর্মকান্ডের সাথে জড়িত না থাকা বা কূটনৈতিক মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়- এমন কাজ না করার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছে।
পরে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই দুই কর্মকর্তাকে ভারত কর্তৃক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার নিন্দা জানিয়ে দাবি করেছে যে, ভারতের এই পদক্ষেপটি হচ্ছে একটি নেতিবাচক ‘পূর্ব-পরিকল্পিত গনমাধ্যম প্রচারণারই অংশবিশেষ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ‘মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগে’ ওই কর্মকর্তাদের আটক করে। পরে হাই কমিশনের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনীত ‘অভিযোগ’ নাকচ করে পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানায়, ভারতের এই পদক্ষেপ কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপারে ভিয়েনা কনভেনশনের লংঘন এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, বিশেষত যেখানে একটি সমঝোতার পরিবেশ লংঘিত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ও আন্তঃদেশীয় ইস্যুগুলোর পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মিরের পরিস্থিতি থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার একটি হীন কৌশল।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘পাকিস্তানের হাই কমিশনের সাথে কাজ করার কূটনৈতিক পরিবেশ সঙ্কুচিত করতেই ভারতের এই অপচেষ্টা।’
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের এই ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের ভূমিকা পালন করার আহবান জানিয়েছে।
এদিকে দিল্লী পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, রোববার বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে করোল বাগ থেকে পাকিস্তানী ওই দুই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়। তারা এ সময় ভারতের নিরাপত্তা স্থাপনা সম্পর্কিত কিছু গোপনীয় জিনিষ সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন।
অভিযুক্তরা হলেন- পাকিস্তান মিশনের সহকারী আবিদ হুসেন আবিদ (৪২) ও কেরানী মোহম্মদ তাহির খান (৪৪)।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস জানায়, বিগত কয়েক মাস ধরে তারা নজরদারীতে ছিলেন।
বাসস/এআইএম/অনুবাদ-কেএআর/২১৪০/-কেএমকে