চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল

318

চট্টগ্রাম, ১ জুন, ২০২০(বাসস): টানা দুই মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শুরু হয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
আজ সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট অবতরণের মাধ্যমে প্রাণ ফিরে পায় শাহ আমানত বিমান বন্দরটি।
সরকারি সিদ্ধান্তে যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সীমিত পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। সেই লক্ষ্যে শনিবার থেকে যাত্রীদের সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, এয়ারলাইন্সগুলোর কাউন্টারে মাস্ক ও গ্লাভস, জুতোর তলা জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটম্যাট বসানো, স্বয়ংক্রিয়ভাবে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা, টার্মিনাল ভবনে দূরত্ব পদচিহ্ন স্থাপনের পর তা যথাযথভাবে পালন করেছে শাহ আমানত বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রথম দিনে ইউএস বাংলা ও নভোএয়ারের ৯টি ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ করার কথা। সেই লক্ষ্যে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। বিমান যাত্রী করোনার উপসর্গবাহী কিনা তা পার্কিং এরিয়াতেই নিশ্চিত করে টার্মিনালে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য টিমের যদি কানো সন্দেহ হয় তাহলে সন্দেহভাজন ওই যাত্রীকে বিমানবন্দও থেকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তও ছিল। তবে সোমবার দুপুর পর্যন্ত করোনার উপসর্গবাহী কোনও যাত্রী পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম। যাত্রীর সঙ্গে দর্শনার্থীদের বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশে কড়াকড়ি ছিল।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার সারওয়ার-ই-জামান বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী ও বিমান বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতভাগ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রথমত আমরা সব যাত্রীকে পার্কিং এরিয়াতে রিসিভ করছি। সেখানে জীবাণুমুক্ত করা ট্রলিতে লাগেজ রাখছে। যাত্রী সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ট্রলি নিচ্ছেন। এরপর নির্দিষ্ট এয়ারলাইন্সের কাউন্টার থেকে গ্লাভস ও মাস্ক সংগ্রহ করে দূরত্ব পদচিহ্ন অনুযায়ী দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘টার্মিনাল ভবনে ঢোকার আগে মেডিক্যাল টিম যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরীক্ষায় যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আমরা তাকে বিমানে উঠতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে এরকম পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে যাত্রীদের বিদায় কিংবা রিসিভ করতে স্বজনদের বিমানবন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছি।’
বিমান বন্দরে দায়িত্বরত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর,স্বাস্থ্য অধিদফতর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু উপলক্ষে নিজেদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনেই দায়িত্ব পালন করছে বলে জানান বিমান বন্দর ম্যানেজার।