আমেরিকায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন নগরীতে কারফিউ জারি

580

মিনিয়াপোলিস, ৩১ মে, ২০২০ (বাসস ডেস্ক) : যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরায় দেশটির প্রধান নগরীগুলোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে পুলিশকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া নির্দেশ ও সতর্কতা উপেক্ষা করে ক্ষুব্ধ জনতা শনিবার রাতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে।
গত সোমবার মিনিসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে আফ্রিকান- আমেরিকান জর্জ ফয়েডকে আটককালে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে তার মৃত্যুর
প্রতিবাদে দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করে এবং সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। শনিবার রাতে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরায় লস এঞ্জেলস, আটলান্টা ও
ফিলাডেলফিয়াসহ আরো অনেক নগরীতে লোকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফয়েডকে আটকের পরে এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে ৯ মিনিট ঘাড় চেপে ধরে রাখে এবং এতে ফয়েডের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনা কালোদের বিরুদ্ধে পুলিশের বর্বরতার প্রতীকে পরিণত হয় এবং ব্যাপক সামাজিক বিশৃংখলা দেখা দেয় ।
লস এঞ্জেলস এ বিক্ষোভ দমনে পুলিশ রাবার বুলেট ছুঁড়েছে , বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুলিশের গাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। শিকাগো এবং নিউইয়র্কেও পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে, অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিনিয়াপোলিসে সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার জন্য চরম বামদের অভিযুক্ত করে ট্রাম্প বলেছেন, দাঙ্গাকারীরা ফয়েডের স্মৃতির প্রতি অমর্যাদা করেছে।
প্রেসিডেন্ট বলেন, “ আমরা এই ক্ষুদ্র অপরাধী গ্রুপ এবং আমাদের নগরীগুলোতে যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তাদের সহ্য করবো না।” তিনি বলেন,“ আমার প্রশাসন সংঘবদ্ধ সহিংসতা বন্ধ করবে। আমরা এদের দমন করবো।” ট্রাম্প এই সহিংসতার জন্য চরম বামপন্থী ও এন্ট্রি ফেসিস্ট নেটওয়ার্ক এন্টিফাকে দায়ী করেন।
শনিবার সন্ধ্যার দিকেই বিক্ষোভকারীরা মিনিয়াপোলিস, নিউইয়র্ক, শিকাগো, মিয়ামী, ফিলাডেলফিয়া এবং অন্যান্য নগরীতে রাস্তায় নেমে আসে। তারা “ব্লাক লাইভস ম্যাটার” এবং “আই কান্ট ব্রেথ” বলে শ্লোগান দেয়। পুলিশ ফয়েডের ঘাড় চেপে ধরা অবস্থায় মৃত্যুর আগে সে বারবার বলছিল “আমি শ্বাস নিতে পারছি না”।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কানাডার টরেন্টোতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে এবং আমেরিকার সীমান্তের বাইরেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।