বাজিস-৪ : জয়পুরহাটে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন

113

বাজিস-৪
ঝড়-সরকারি-সহায়তা
জয়পুরহাটে কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে জেলা প্রশাসন
জয়পুরহাট, ২৮ মে, ২০২০ (বাসস) : জেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে সরকারি সহায়তা হিসাবে। এ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ঘর তৈরিতে ১০০ বান্ডিল টিন ও মেরামত কাজের জন্য পরিবার প্রতি ৩ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় উপর দিয়ে ঈদের আগের রাতে এবং পরের দিন রাতে বয়ে যাওয়া তিন দফায় কালবৈশাখী ঝড়ের প্রচন্ড আঘাতে ৪ হাজার ৬০০ ঘরবাড়ি সহ গাছ পালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রাথমিক হিসাবে হাঁস-মুরগি মারা গেছে ১ লাখ ৪২ হাজার। গাছ ভেঙ্গে পড়ে দেয়াল চাপায় একই পরিবারের মাসহ দুই ছেলে এবং অপর এক বৃদ্ধা নিহত হন।
এ ছাড়াও ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির পাকা বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্তসহ ৪টি গবাদি পশুর মৃত্যু দেখানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাক্ষণিকভাবে দ্রুত ক্ষয়-ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব নিরুপণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে গতকাল সন্ধ্যায় বাসসকে জানান, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুফাক্ষারুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের আগের রাতে এক দফা এবং পরের দিন রাতে পর পর দুই দফা ঝড় আঘাত হানে জয়পুরহাটে। এতে জয়পুরহাট সদর, ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলায় বাড়ি-ঘড়, মুরগির সেড, বোরো ধান, শাকসবজি, কলাগাছ সহ বিভিন্ন গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি গাছ উপড়ে পড়ায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন হওয়া সংযোগ ৭২ ঘন্টা পরে স্বাভাবিক হয়।
জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু এমপি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকির হোসেন সদরের ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক সরকারি সহায়তা হিসাবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিবারের জন্য ২০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ঘর তৈরিতে ১০০ বান্ডিল টিন ও মেরামত কাজের জন্য পরিবার প্রতি ৩ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। চূড়ান্ত ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/১২৫৫/কেজিএ