সিলেট ২৫ মে, ২০২০ (বাসস): সরকারের নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বর্তমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহসহ এবারে কোন ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত প্রতিটি এলাকার নিজ নিজ জামে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিটি মসজিদে ঈদের নামাজ শেষে মুনাজাতে বর্তমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশ সহ বিশ্ববাসীকে মুক্তির জন্য দোয়া করেন মুসল্লীর। এ সময় কান্না জড়িত কন্ঠে বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করেন তারা। বিশেষ করে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে বাংলাদেশকে সুরক্ষায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়।
জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিলেটের বড় বড় মসজিদ বিশেষকরে দরগাহে হজরত শাহজালাল(রঃ)মাজার জামে মসজিদ, হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদ ও জামেয়া মদীনাতুল উলুম দারুসসালাম মাদ্রাসা মসজিদ,কাজির বাজার মাদ্রাসা জামে মসজিদে ২টি এবং বন্দরবাজারস্থ কালেক্টরেট মসজিদে ৪টি করে ঈদের জামাআত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সিলেটের শাহজালাল দরগাহ মাজার মসজিদে ২টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমটি সকাল সাড়ে ৮টায় এবং দ্বিতীয়টি সাড়ে ৯টায়। এর একটিতে ইমামতি করেন হাফিজ মাওলানা আসজাদ আহমদ ও অপরটিতে হাফিজ মাওলানা হুজায়ফা হুসাইন।
অন্যদিকে, সিলেটের বন্দরবাজারস্থ হাজী কুতরত উল্লাহ জামে মসজিদেও ঈদের নামাজের জামাত ২টি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় একটি আর সাড়ে ৯টায় আরেকটি। একটিতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব সাঈদ বিন নুরুজ্জমান আালমদানি এবং অপরটিতে মসজিদের সিনিয়র মোয়াজ্জিন।
অপরদিকে, বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ঈদের জামাত একটি অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত জামাতে ইমামতি করেন মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি মাওলানা আবু হুরায়রা নোমান।
এদিকে, বন্দরবাজার এলাকার সিলেট কালেক্টরেট জামে মসজিদে ঈদের ৪টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা ও ১০টায় এই জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর নগরের খাসদবীর জামেয়া মদীনাতুল উলুম দারুসসালাম মাদ্রাসা মসজিদে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত সকাল ৮ টা এবং ২য় জামাত সকাল সাড়ে ৮ টার সময় অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজ শেষে সিলেটের প্রতিটি মসজিদেই করোনামুক্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুসল্লিরা। এসময় তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে চারপাশ। পাশাপাশি দেশ ও জাতির সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করে মুনাজাত করা হয়।