এইচএসসিতে পাসের হার ৬৬.৬৪ শতাংশ : জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন

322

ঢাকা, ১৯ জুলাই, ২০১৮ (বাসস) : উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ কথা জানান।
এর আগে সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর সংশ্লিষ্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানরা তাদের স্ব স্ব বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
এবছর ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এরমধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ শিক্ষার্থী, যা গড়ে ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এর মধ্যে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। ছাত্রের পাসের হার ৬৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, আর ছাত্রীর পাসের হার ৬৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।
আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে অর্থাৎ এইচএসসিতে পাস করেছেন ৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৮ শিক্ষার্থী, যা গড়ে ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৬২ জন শিক্ষার্থী।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে চলতি বছর ৯৭ হাজার ৭৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে পাস করেছেন ৭৬ হাজার ৯৩২ জন। গড় পাশের হার ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৪ জন শিক্ষার্থী।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে অর্থাৎ ভোকেশনালে এবার পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৮৯ জন, যা গড়ে ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ১৮ হাজার। এরমধ্যে পাস করেছেন ৮৯ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৪৫৬ জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন জিপিএ-৫।
এছাড়াও বিদেশ কেন্দ্রে মোট ২৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৬৩ জন। যা শতকরা পাশের হার ৯২ দশমিক ২৮ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৬ জন শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় গত ২ এপ্রিল। তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মে’র মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা।
পরীক্ষায় কৃতকার্য সকল পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে সাংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণলয় , জেলা ও মাঠ প্রশাসন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর সমূহ, কলেজ প্রশাসন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রত্যবেক্ষক, প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক, নিরীক্ষক, বোর্ডেও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পর্ণ হয়। এবছর ফল প্রকাশের জন্য নির্ধারিত ৬০ দিনের মধ্যে ৫৫ তম দিনেই ফলাফল প্রকাশ করা হল।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যাতে কোন ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে পূর্ব থেকেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও পরামর্শে পাবলিক পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমন্বিত কর্মকৌশল প্রয়োগ করা হয়। যে কারণে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার সময়ে প্রশ্ন পত্র ফাঁসের কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি।