রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের ভার বহনে শরিক হতে ইউ’র প্রতি ঢাকার আহবান

511

ঢাকা, ২১ মে, ২০২০ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দানের বোঝা কমাতে তাদের ইউরোপ অথবা অন্য কোন তৃতীয় দেশে সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে সংকট সমাধানে শরিক হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইউ) দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এখানে ইউ’র ১০ টি দেশের মিশন প্রধানদের সংগে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের একার নয়।” আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
ঢাকাস্থ ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং ঢাকায় ইউ প্রতিনিধি বুধবার এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।
মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মায়ানমারে সামরিক অভিযানের পরে বাধ্য হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে তারা এখানে পালিয়ে আসতে শুরু করে। এই ঘটনাকে মানবাধিকার গ্রুপগুলো “গণহত্যা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিন বছর পার হয়ে গেছে। মায়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও তাদের দেশে ফিরতে পারেনি।
মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য আরো চাপ প্রয়োগে ইউ রাষ্ট্রদূতদের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, মাদক , নারী ও শিশু পাচার বন্ধ,আইন শৃ্খংলা ভঙ্গে লোকদের উস্কানি দেয়া বন্ধের পাশাপাশি পর্ণোগ্রাফি বন্ধসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার নিরাপত্তার স্বার্থে ৪জি ইন্টারনেট সেবা বাতিল করা হয়েছে।
ক্যাম্পের কর্মীরা তাদের অফিস ও থাকার জায়গা থেকে ৪জি সুবিধা পাবেন।
তবে রোহিঙ্গাদের যোগাযোগের জন্য ২জি সুবিধা রয়েছে। এটি তাদের জন্য যথেষ্ট।
পররাষ্টমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গাদের সর্বদা সুরক্ষা দেবে।
ইউ রাষ্ট্রদূতরা রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের মানবিক আচরণের জন্য তাদের প্রশংসার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনও ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন।