বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ : ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

134

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪
শেখ হাসিনা-ঘূর্ণিঝড়
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
ঢাকা, ২১ মে, ২০২০ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) প্রেস উইং এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, লকডাউন পরিস্থিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন ও অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দিচ্ছেন। এছাড়াও মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ গতকাল জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তাঁর নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সকলে সক্রিয় থাকবেন। আজ সকাল থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একই সাথে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সাথে সমন্বয় করে কাজ করার জন্য।
তিনি আরো বলেন, আজ সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সাথে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে গত দুইদিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবার ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা, চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকেই। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত কৃষি ও গবাদি পশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে।
বাসস/এসএইচ/১৮২৪/এবিএইচ