বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (২য় ও শেষ কিস্তি) : কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একযোগে লড়াইয়ের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

116

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (২য় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-ইউএনএসক্যাপ
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি একযোগে লড়াইয়ের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত প্রধানমন্ত্রীর

এগুলো হচ্ছে : প্রথমত, ব্লু ইকোনমিতে উন্নত দেশগুলো থেকে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সমর্থন বাড়ানো;
দ্বিতীয়ত, অবৈধ, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত মৎস শিকার প্রতিরোধ, প্রতিরোধ ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রচলিত প্ল্যাটফর্ম নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মৎস্য উন্নয়নে যৌথ গবেষণা প্রয়োজন।
তৃতীয় ও সর্বশেষ, গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় আবাস এবং জীব বৈচিত্র সুরক্ষা করা এবং ম্যাপিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচিতি শুরু করা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সম্পদের সর্বশেষ ঠিকানা হিসেবে মহাসাগর এবং সাগর আমাদের জীবন-ধারণ, দারিদ্র বিমোচন এবং কর্মর্সস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
তিনি বলেন, পরিবেশগত দূষণকারীরা সামুদ্রিক খাদ্য-ওয়েবের প্রধান অন্তরায় এবং সমুদ্রগুলোর সম্পদ ব্যবহারের টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সম্পদ দক্ষতার পথে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একীভূত প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী এর পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, তাঁর সরকার দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় উন্নয়ন কৌশলের অংশ হিসেবে নীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সংরক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে এবং টেকসই ও পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং মিঠা পানির ও সামুদ্রিক সম্পদ রক্ষায় অন্যান্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং এসক্যাপে স্থায়ী প্রতিনিধি মো. নাজমুল কওনাইন ইউনেস্কাপের ৭৬ তম কমিশনের সভাপতির পদে নির্বাচিত হয়েছেন। থাইল্যান্ড সহ-সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়।
এ প্রসঙ্গে ৭৬ তম অধিবেশনে প্রদত্ত ভাষণে কওনাইন বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রেখে তাঁকে সভাপতি নির্বাচিত করায় এসক্যাপের ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক কর্মকান্ড এবং সহযোগিতা এবং ইউএনএসসিএপি-র কার্যক্রমে বাংলাদেশের অত্যন্ত সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং অবদানের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ করেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চান-ও-চা, ফিজির প্রধানমন্ত্রী জসাজা ভোরেক বাইনিমারামা এবং টুভালু’র প্রধানমন্ত্রী কৌসিয়া নাটানো ও উদ্বোধনী অধিবেশনে ভিডিও ম্যাসেজ পাঠান।
অধিবেশনে, এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো কোভিড-১৯ মহামারীর আর্থ-সামাজিক প্রভাব মোকাবেলায় সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে এবং একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
অধিবেশনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র বিষয়ক ইউনিটের সচিব মো. খুরশেদ আলমের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিভিন্ন বিষয় এবং কমিশনের কাজকর্মে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
বাসস/এসএইচ/অনু-এফএন/১৬০০/আরজি